লি চিয়ান ১৯৭৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর হেই লোং চিয়াং প্রদেশের হারবিন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হচ্ছেন চীনের মূল-ভূভাগের একজন জনপ্রিয় পপ সংগীতে শিল্পী ও সুরকার । তিনি বিখ্যাত ছিং হুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক হন।
২০০১ সালের এপ্রিলে তিনি চীনের আরেক জনপ্রিয় শিল্পী লু গেংস্যুই’র সঙ্গে ‘শুই মু নিয়ান হুয়া’ নামে একটি সংগীত দল গঠন করেন। এর মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে শোবিজে প্রবেশ করেন। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁদের প্রথম সঙ্গীত অ্যালবাম ‘তোমার সঙ্গে জীবন’ প্রকাশিত হয়।
বন্ধুরা, তাহলে এখনই আপনাদের শোনাবো অ্যালবামের শিরোনাম সংগীত ‘তোমার সঙ্গে জীবন’।
প্রিয় বন্ধুরা, কেমন লেগেছে গানটি? নিশ্চয় আপনাদের ভালো লাগার কথা। কারণ এটি একটি জনপ্রিয় গান।
কিন্তু পরের বছর অর্থাৎ ২০০২ সালে তিনি ‘শুই মু নিয়ান হুয়া’ থেকে বিদায় নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০০৩ সালে তিনি নিজের প্রথম একক অ্যালবাম ‘সময় প্রবাহিত জলের মতো দ্রুত বয়ে চলে’ প্রকাশ করেন। এতে ‘কিংবদন্তী’ ও ‘অগাস্ট মাসের ছবি স্টুডিও’সহ মোট ১০টি গান স্থান পেয়েছে।
বন্ধুরা, এতক্ষণ শুনলেন লি চিয়ান এবং চীনের একজন বিখ্যাত গায়িকা ওয়াং ফেই’র যৌথ গাওয়া গান ‘কিংবদন্তী’। এটা একটি বিশেষ গান। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
২০১৩ সালে লি চিয়ান চীনের আরেকজন জনপ্রিয় অভিনেত্রি সুন লি’র সঙ্গে সিসিটিভি’র বসন্ত উত্সবে ‘যে বাতাস যবকে নাড়া দেয়’ গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তারপর থেকে গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন এ গানটি শুনুন।
২০১৫ সালে লি চিয়ান চীনের হু নান টিভি’র সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান ‘আমি একজন কণ্ঠশিল্পী’র তৃতীয় পর্বে অংশ নিয়ে চূড়ান্তভাবে রানার-আপ হন।
প্রিয় শ্রোতা, এখন আমরা এক সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তাঁর গাওয়া একটি গান শুনতে পারি কি? গানের নাম ‘প্রেম যদি দৈব হয়’।
আসলে এটি খুব রোমান্টিক একটি গান। গানটি দক্ষিণ কোরিয়ার একই নামের চলচ্চিত্র থেকে নেয়া। লি চিয়ান বলেছিলেন, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার টিভি নাটকের অনুরাগী। চলচ্চিত্রের ‘থিম সং’টি তাঁর হৃদয়ে অনেক দিন ছিল। সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সময় তিনি সে গানটি চীনা ভাষায় রূপান্তর করেন। তাঁর লেখা গানের কথা প্রধানত ভালোবাসায় অক্ষমতার সৌন্দর্য্য প্রকাশ করেছে।
বন্ধুরা, আমরা এখন লি চিয়ানের আরেকটি গান শুনবো। গানের নাম ‘বৈকাল হ্রদ’।
বন্ধুরা, আপনাদের হয়তো বিশ্বাসই হবে না যে, স্নাতক হওয়ার পর লি চিয়ান জাতীয় রেডিও, ফিল্ম ও টেলিভিশনের প্রশাসন ব্যুরোতে একজন নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ২০০০ সালের শেষ নাগাদ তিনি চাকরি ত্যাগ করে তাঁর সঙ্গীত জীবন শুরু করেন। তাঁর অধিকাংশ গান হাল্কা ও ধীর। মনে হয় তাঁর জীবনটা খুবই শান্ত ও স্থির। এখন শুনুন ‘আমি চাচ্ছি সবাই যেন দীর্ঘায়ু হয়’ শিরোনামের গানটি। এটি জীবনের প্রতি লি চিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ করেছে।