বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের খুব জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফেই সিয়াং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো এবং তাঁর কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনাবো।
ফেই সিয়াং, ১৯৬০ সালের ২৪ ডিসেম্বর চীনের তাইওয়ান প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন চীনা ভাষা সংগীত মহলের বিখ্যাত পুরুষ কণ্ঠশিল্পী; তিনি একই সঙ্গে একজন অভিনেতাও বটে।
১৯৮১ সালে ফেই সিয়াং নিউইয়র্কের Neighborhood Playhouse School of the Theater থেকে স্নাতক পাস করে তাইওয়ান প্রদেশে ফিরে যান এবং একটি টিভি নাটক ‘১১ জন মহিলার অভিনয়ে’-তে অংশ নেন।
১৯৮২ সালে ফেই সিয়াং-এর প্রথম অ্যালবাম ‘ঘোরাঘুরি’ তাইওয়ানে প্রকাশিত হয় এবং সে বছর তিনি ‘সোনালি অ্যালবামের’ পুরস্কার পান। ১৯৮৩ সাল থেকে ফেই সিয়াং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অ্যালবাম প্রকাশ করা শুরু করেন। বন্ধুরা, এখন শুনুন ফেই সিয়াং-এর গান ‘শীতকালের আগুন’।
বন্ধুরা, এখন শুনুন ফেই সিয়াং-এর গান ‘তোমাকে পড়া’। গানের কথা এমন: তোমাকে হাজার বার পড়লেও বিরক্ত লাগে না। তোমাকে পড়া যেন মার্চ মাসের মতো সুন্দর। রোমান্টিক ঋতু, মনোমুগ্ধকর কবিতা, হ্যাঁ, তোমাকে হাজার বার পড়লেও বিরক্ত লাগে না। আচ্ছা, শুনুন গানটি।
প্রিয় বন্ধুরা, এখন শুনুন ফেই সিয়াং-এর গান ‘জন্মস্থানের মেঘ’। গানের কথায় বলা হয়েছে: আকাশে জন্মস্থানের মেঘ ভেসে এসেছে, সে আমাকে ডাকছে। যখন কাছ দিয়ে হালকা বাতাস বয়ে যায়, তখন একটি কণ্ঠ আমাকে ডাকে: ফিরে আসো, ফিরে আসো, ভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করা ছেলে। ফিরে আসো, ফিরে আসো, আর চার দিকে ঘোরাঘুরি ক’রো না। আচ্ছা, তাহলে গানটি শুনুন।
বন্ধুরা, এখন যে গান আপনাদের শোনাবো, তার নাম ‘স্বপ্ন’। গানে বলা হয়: গতকাল রাতে, যেন স্বপ্নে তোমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল, আবারও চুপচাপ বিদায় নিয়েছি। যখন আমি চলে যাই, হৃদয় ছিল নিশ্চুপ। যেন সবকিছু হারিয়েছি, আহা, আমার প্রেম! আচ্ছা, শুনুন গানটি।
প্রিয় বন্ধুরা, এখন শুনুন ফেই সিয়াং-এর গান ‘বিরক্তিকর শরৎ-এর বাতাস’। গানের কথাগুলো এমন: কেন শরৎ-এর বাতাস এত বিরক্তিকর? তোমার, আমার ভালোবাসা সব বয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়। কেন তুমি সেই বাতাসের সঙ্গে চলে গেলে? কোনো বিদায় বলো নি, তোমার নামও জানাও নি। আমি বাতাসের সঙ্গে যাই, থেমে যাও বাতাস। বাতাস, বাতাস, কেন এত দ্রুত চলে গেলে, আমাকে তার নাম জানিয়ে দাও।
আচ্ছা, এখন শুনুন গানটি।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফেই সিয়াং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তাঁর কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে।
(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)