‘ফাস্টের’ প্রভাবে পিংথাং জেলার মাধ্যমিক স্কুলে ব্যাপক পরিবর্তন
2021-04-12 17:50:39

বন্ধুরা, আগের অনুষ্ঠানে আমরা চীনের কুইচৌ প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলের পিংথাং জেলায় অবস্থিত চীনের ‘আকাশ চোখ’ নামে পরিচিত টেলিস্কোপ ‘ফাস্ট’ এবং সেখানে কর্মরত যুব গবেষক ও কর্মীদের গল্প তুলে ধরেছি। গত পয়লা এপ্রিল ‘ফাস্ট’ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের জন্য খোলা হয়েছে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘ফাস্ট’ নির্মিত হওয়ার পর পিংথাং জেলাও চীনের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়। ‘ফাস্ট’ স্থানীয় স্কুলগুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনায়ও প্রভাব ফেলেছে। আজকের আসরে আমরা স্থানীয় মাধ্যমিক স্কুলের ব্যাপক পরিবর্তনের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো।

‘ফাস্টের’ প্রভাবে পিংথাং জেলার মাধ্যমিক স্কুলে ব্যাপক পরিবর্তন_fororder_ty

২০১৭ সালে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞান কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত নেয় পিংথাং জেলার সরকার। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক আগ্রহ। তবে, তখন দরিদ্র জেলার স্কুলে এমন কোর্স চালু করা খুবই কঠিন ব্যাপার ছিল। পরে চীনের অন্যান্য এলাকার স্কুলের সহায়তায় জ্যোতির্বিজ্ঞানের কোর্স ধীরে ধীরে চালু হয়। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত জেলার ১৯০ জন শিক্ষার্থী জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছে এবং অ্যাস্ট্রোফিজিক্সসহ বিভিন্ন মেজরে শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ৮০০ জনেরও বেশি হয়েছে।

আকাশ থেকে ‘ফাস্ট’ দেখতে ৫০০ মিটার ব্যাসের একটি বড় পাত্রের মতো। ৪০০০টিরও বেশি টুকরার সমন্বয়ে গঠিত এ ‘বড় পাত্র’ দেখতে বেশ পরিষ্কার ও উজ্জ্বল।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফাস্ট নির্মাণের পর পিংথাং জেলার মিনজু উচ্চবিদ্যালয়ের ভূগোলের শিক্ষক ইয়াং জু ফেই স্কুলে জ্যোতির্বিদ্যার কমিউনিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। কমিউনিটির সদস্য হতে ৬৮০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করে। স্কুলের সবচেয়ে বড় ক্লাসরুমটিও সবাইকে ধারণ করতে পারে না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই অনেকে জ্যোতির্বিদ্যার ক্লাস করতে শুরু করে।

একই সময় পিংথাং জেলা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে থুংচৌ জেলায় মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক ছেন লিবি স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য জ্যোতির্বিদ্যা ক্লাস চালু করতে গিয়ে মনে মনে উদ্বিগ্ন হন। কারণ একজন পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে তিনি তেমন কিছু জানেন না। ‘ফাস্ট’ তাঁর স্কুল থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূর। ফাস্টের জন্মস্থানের বাসিন্দা হয়েও জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে কিছু জানেন না—এটা খুবই লজ্জার ব্যাপার মনে হতে লাগল তার কাছে। তখন থেকে নিজের প্রয়াসে জ্যোতির্বিদ্যার জ্ঞান বাড়িয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষক ছেন।

পিংথাং জেলার জ্যোতির্বিদ্যা প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করার পর অনেক দক্ষ বিজ্ঞানীর দৃষ্টি সেদিকে আকৃষ্ট হয়। ব্রিটিশ রয়েল পরিষদের শিক্ষাবিদ, ব্রিটিশ জ্যোতির্বিদ জোসলিন বেল জেলার ৪০টিরও বেশি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের জন্য বিশেষ সেমিনার আয়োজন করেন। শিক্ষক ছেন এ সেমিনারে অংশ নেন। তবে তিনি তেমন কিছুই বুঝতে পারেননি। এরপর চীনের জ্যোতির্বিদ্যা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশেষজ্ঞরাও পিংথাং জেলায় সফর করতে আসেন। শিক্ষক ছেন কয়েকটি সেমিনারে অংশ নেন। তবে জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে তার জানা ও বোঝা হয়ে ওঠে খুবই কম।

২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষকদের জ্যোতির্বিদ্যা প্রশিক্ষণ ক্লাস পিংথাং জেলায় আয়োজিত হয়। তখন রাজধানী বেইজিংয়ের থুংচৌ জেলার লিইউয়ান স্কুলের শিক্ষক ই না এবং কুয়াংসি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্টেডিয়ামের শিক্ষকের ক্লাস শিক্ষক ছেনের মনে গভীর ছাপ ফেলে। তাঁরা সহজ ভাষায় চমত্কারভাবে জ্যোতির্বিদ্যার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

সেই সময়ের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে শিক্ষক ছেন বলেন, স্থানীয় স্কুলের কয়েক জন শিক্ষককে ডেকে বেইজিংয়ের শিক্ষক ই না’র সাথে ডিনার করেন তিনি এবং তাদের নিয়ে পাহাড়াঞ্চলে রাতের তারা উপভোগ করেন। কেউ কেউ বলেন, জীবনে কখনও এমন সুন্দর আকাশ ও তারা দেখেননি। কিন্তু সুন্দর রাতের দৃশ্য উপভোগ করার সাথে সাথে স্থানীয় শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন বেইজিংয়ের শিক্ষক। তখন শিক্ষক ছেন জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে কিছু জ্ঞান অর্জন করেন।

বেইজিংয়ে ফিরে যাওয়ার পর থুংচৌ লি ইউয়ান স্কুলের শিক্ষক ই না পিংথাং জেলার থুংচৌ স্কুলের শিক্ষক ছেনের কথা ভোলেননি। তিনি ছেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিজের খরচে ৪০০০ ইউয়ান দিয়ে একটি টেলিস্কোপ কিনে পিংথাং জেলার স্কুলে পাঠিয়ে দেন। শিক্ষক ই’র স্বামী ইন ছিং সুংও একজন অভিজ্ঞ জ্যোতির্বিদ্যার শিক্ষক। স্বচোখে পিংথাং থুংচৌ স্কুলের দৃশ্য দেখে একটু অবাক হয়ে যান তিনি। কারণ, সবসময় রাজধানীতে বসবাস করে আসছেন তিনি, কখনও এমন দরিদ্র এলাকায় আসার সুযোগ হয়নি তাঁর। তখন থেকে বেইজিং ও পিংথাংয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ শুরু হয়; দুই স্কুলের মধ্যে সহযোগিতামূলক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। শিক্ষক ই’র দৃষ্টিতে বেইজিংয়ের স্কুলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শেখার অনেক সুযোগ রয়েছে। তবে কুইচৌ পাহাড়ের স্কুলে পেশাগত বিজ্ঞানী ও সরাসরি ‘ফাস্ট’ পর্যবেক্ষণের সুযোগ রয়েছে, যা বড় ও শ্রেষ্ঠ সুযোগ।

পিংথাং জেলার মিনজু স্কুলের অবস্থা প্রায় একই। তাদের প্রথম পর্যায়ের জ্যোতির্বিদ্যা কমিউনিটির সদস্য ৬০ জন, তবে স্কুলে মাত্র ৩টি টেলিস্কোপ রয়েছে। তাই পরে কমিউনিটিতে সদস্যের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৩০ থেকে ৪০ জনে। আগে আমরা বলেছি, পিংথাং জেলা সেই সময় চীনের দরিদ্র জেলা ছিল। জ্যোতির্বিদ্যার একটি বইয়ের দাম শতাধিক ইউয়ান এবং তারা পর্যবেক্ষণের টেলিস্কোপের দামও কয়েক হাজার ইউয়ান।  তাই সারা জেলায় ব্যাপকভাবে জ্যোতির্বিদ্যা শিক্ষা দেওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমির জ্যোতির্বিদ্যার পণ্ডিতরা স্কুলে এসে সেমিনার করেন। তারা একটি টেলিস্কোপ নিয়ে আসেন। সেমিনারের পর শিক্ষক ইয়াং এ টেলিস্কোপ রেখে যান। আরেকটি টেলিস্কোপ একটি কোম্পানি দান করে। এর দাম ১০ হাজার ইউয়ানেরও বেশি। সবচেয়ে ভালো একটি টেলিস্কোপ পিংথাং জেলার একজন জ্যোতির্বিদ্যা ফ্যানের মাধ্যমে পাওয়া যায়। তিনি জার্মানি থেকে এ টেলিস্কোপ কিনেছেন এবং এর দাম ৩ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি। তা ছাড়া, মিনজু উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ্যা ক্লাসরুমে আরো ১০টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি রয়েছে, যেগুলো ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয়। শিক্ষার্থীরা সময় পেলে এ ক্লাসে আসতে চায়।

গত কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় এবং পিংথাং ও বেইজিংয়ের স্কুলের সহযোগিতায় পিংথাং জেলার শিক্ষার্থী ও বেইজিং স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানগত ব্যবধান অনেক কমে গেছে। শিক্ষক ছেন প্রতিবছর কয়েকজন ছাত্রছাত্রী নিয়ে বেইজিংয়ের জ্যোতির্বিদ্যা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। শুরুর দিকে শিক্ষার্থীদের মনে অনেক ভয় কাজ করত। তবে পরে তারা প্রতিযোগিতার আমেজ অনুভব করতে শুরু করে।

এ সম্পর্কে শিক্ষক ই না বলেন, কুইচৌ’র বাচ্চারা আসলে অনেক বুদ্ধিমান। বেইজিংয়ের বাচ্চাদের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যেন খেলার মতো, তবে কুইচৌ’র বাচ্চারা অত্যন্ত সিরিয়াসলি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তাদের জন্য এটা সিরিয়াস একটি কাজ। আসলে কুইচৌ থেকে বেইজিংয়ে গিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া স্থানীয় বাচ্চাদের জন্য অনেক কঠিন ব্যাপারও বটে। কারণ, খাওয়া-থাকা ও যাতায়াত খরচ একসাথে মিলিয়ে প্রত্যেককে প্রায় ২০০০ ইউয়ান করে দিতে হয়, যা সংশ্লিষ্ট পিতামাতাদের ওপর একটি বড় চাপ। তবে স্থানীয় পিতামাতারা নিজেদের বাচ্চাদের এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে দিতে চান। তাদের ত্যাগ সবসময় শিক্ষক ছেনকে মুগ্ধ করে।

২০১৯ সালে বেইজিংয়ের শিক্ষক ই না তাঁর ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পিংথাং জেলায় বেড়াতে আসেন। বেইজিংয়ের ছাত্রছাত্রীরা পিংথাংয়ে চীনা মাটির পাত্র তৈরি করে এবং এখানে বিভিন্ন ধরনের জ্যোতির্বিদ্যার যন্ত্রপাতিও দেখে, যা বেইজিংয়ের শিক্ষার্থীদের জন্যও শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা।

পিংথাং জেলার থুংচৌ মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র থান সিং পিয়াও এখন কারিগরি স্কুলে ভর্তি হয়েছে। এক বছর আগে মাধ্যমিক স্কুল থেকে স্নাতক পরীক্ষায় তার ফল খুব ভালো ছিল না। তাই উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি। এ সম্পর্কে থান বলল, মাধ্যমিক স্কুলে জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে অনেক জানার সুযোগ পেয়েছে সে। প্রথমবারের মতো নীহারিকা দেখে সে বিমোহিত হয়। এখন  সে কারিগরি স্কুলে প্রিস্কুল শিক্ষক হবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্নাতক হওয়ার পর প্রিস্কুলের বাচ্চাদের জ্যোতির্বিদ্যা শেখাতে চায় থান।

পিংথাং মিনজু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিউ চাং থাও দ্বিতীয় শ্রেণীতে স্কুলের প্রতিনিধি হিসেবে বেইজিংয়ের জ্যোতির্বিদ্যার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে এবং সেই বছর কুইচৌ প্রদেশ দ্বিতীয় স্থান পায়। সে বিশ্বের ডিজিটল মেলায় ‘আমি ও ফাস্ট’ শীর্ষক বক্তৃতা দেওয়ারও সুযোগ পায়। সেই সময় চীনের রাষ্ট্রীয় জ্যোতির্বিদ্যা জাদুঘরের গবেষক ও মহাপরিচালকদের সাথে দেখা হয় তার। তখন থেকেই ‘ফাস্ট’-এ গবেষণার কাজে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে সে। এখন সে চোংশান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিদ্যা একাডেমিতে ভর্তি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার চাপ অনেক বেশি, তবে সে ব্যস্ততার মধ্যে মজার বিষয় খুঁজতে চেষ্টা করে। তাকে জ্যোতির্বিদ্যায় ভালো করতে হলে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে ভালো করতে হবে—এ কথা সে ভালোই জানে।

জন্মস্থান পিংথাংয়ের কয়েকটি জাদুঘরের মধ্যে সুযোগ পেলেই সে অধ্যাপক নান রেন তুংয়ের জাদুঘর পরিদর্শন করে। কারণ, তিনি ‘ফাস্টের’ পিতা, ফাস্টের নির্মাণকাজে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। ছুটির সময় যখন বাড়িতে ফিরে যায়, তখন ছাত্র লিউ সবসময় টেলিস্কোপ ধরে আকাশের তারা পর্যবেক্ষণ করে। পাহাড়াঞ্চলের তারা বেশ উজ্জ্বল, টেলিস্কোপের মাধ্যমে রহস্যময় ও বিশাল মহাশূন্য অনুভব করতে পারে সে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা ও লক্ষ্য সম্পর্কে ছাত্র লিউ বলল, ‘একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে ভাগ্যের ব্যাপার, তাঁর যুবক বয়সে নিজের দায়িত্ব বা কাজ খুঁজে পাওয়া।’ আমরাও বিশ্বাস করি, হাজার হাজার যুব-গবেষক যৌথ প্রয়াসে ‘ফাস্টের’ মাধ্যমে আরো বেশি পালসার খুঁজে পাবে, জানবে মহাকাশের অনেক অজানাকে।

সুপ্রিয় বন্ধুরা, সময় দ্রুত চলে যায়, আজকের বিদ্যাবার্তা এখানে শেষ হয়ে এলো। আমাদের অনুষ্ঠান যারা মিস করেছেন, তারা আমাদের ওয়েবসাইটে তা শুনতে পারেন। ওয়েবসাইট ঠিকানা www.bengali.cri.cn,ফেসবুকে CRIbangla মাধ্যমে চীন ও বিশ্ব সম্পর্কে আরও অনেককিছু জানতে পারেন। তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন, আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে,যাইচিয়ান। (সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)