এপ্রিল ১৯: উত্তর আটলান্টিক দেশসমূহ সারা বিশ্বের মধ্যে এশিয়াকে ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এমন ধারণা ১৯৯০ সালে করা গেলেও, ২০২১ সালে আর ঠিক নয়।
সম্প্রতি রয়টার্সের বাজার বিশ্লেষক জন কেম্প এক প্রবন্ধে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নয় পুরনো দৃষ্টিতে এশিয়াকে দেখা। আজকের এশিয়া আগেকার মতো নয়। বিশ্ব অর্থনীতিতে এশিয়ার হিস্যা গত শতাব্দীর ৯০ দশকের ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৯ সালে ৪১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সারা বিশ্বে তার প্রভাব বেড়েছে। ২০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত বোয়াও এশিয়া ফোরাম তার প্রমাণ।
বোয়াও চীনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহর। এশিয়ার সর্বোচ্চ প্রভাবশালী অর্থনৈতিক ফোরাম অনুষ্ঠানের জায়গা হিসেবে বোয়াও খ্যাতি অর্জন করেছে। চলতি বছরের ফোরাম গতকাল (রোববার) থেকে শুরু হয়। তাতে বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের ২৬০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছে। সারা বিশ্ব এ শহরের ওপর নজর রাখছে। কারণ চীন মহামারি নিয়ন্ত্রণে এনে এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করে বিশ্বকে আস্থায় এনেছে।
ফোরামের কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে এশীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। একই সঙ্গে সারা বিশ্ব এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহযোগিতার সুযোগ খুঁজছে। এশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় অঞ্চল। তিন বছর আগে বোয়াও এশিয়া ফোরামে চীন অব্যাহতভাবে উন্মুক্ত হওয়ার কথা উচ্চারণ করে। আজ সারা বিশ্বের সাথে বোয়াও জানালার মাধ্যমে এশিয়া ও বিশ্ব উন্নয়নে চীন তার সুযোগ ও সুবিধা শেয়ার করার প্রত্যাশা করছে। সম্প্রতি সিআরআইয়ের এক সম্পাদকীয়তে এসব বলা হয়। (রুবি/এনাম/আকাশ)