লিয়াংচিয়াহ্য গ্রামে নিরক্ষরতা দূরীকরণ ক্লাসে সি চিন পিংয়ের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা
2021-04-19 14:12:33

চলতি বছর চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) প্রতিষ্ঠার শততম বার্ষিকী। চীনের ক্ষমতাসীন পার্টি হিসেবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিরলস প্রচেষ্টায় দেশের দারিদ্র্যবিমোচন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে সিপিসি। কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও এই কার্যক্রম চলেছে। ফলে  ২০২০ সালের শেষ দিকে এসে দেশের ৯ কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি গ্রামের দরিদ্র মানুষ সার্বিকভাবে দারিদ্র্যমুক্ত হয়, যা একটি চমত্কার সাফল্য। বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য সেটি একটি দৃষ্টান্ত।

দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্য চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উত্থাপিত মহান পরিকল্পনার কথা এখানে উল্লেখ্য। অনেক বছর আগে যখন তিনি তৃণমূল পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন, তখনই স্থানীয় গ্রামবাসীদের দরিদ্র জীবন নিজের চোখে দেখেন এবং তাদের দারিদ্র্য দূর করতে নিজের পরিকল্পনা উত্থাপন করেন। তিনি বলতে থাকেন, দারিদ্র্য বিমোচন করতে চাইলে শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে হবে। দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে স্রেফ আয় বৃদ্ধি করলে চলবে নয়, বরং চিন্তাধারার দারিদ্র্যও নির্মূল করতে হবে।

লিয়াংচিয়াহ্য গ্রামে নিরক্ষরতা দূরীকরণ ক্লাসে সি চিন পিংয়ের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা_fororder_xjp2

১৯৬৯ সালের জানুয়ারি মাসে ১৬ বছর বয়সে সি চিন পিং চীনের শাআনসি প্রদেশের উত্তরাঞ্চলের লিয়াংচিয়াহ্য গ্রামে পৌঁছান এবং সেখানে টানা ৭ বছর কাটান। স্থানীয় গ্রামবাসীরা বলেন, যুবক সি তখন বলতে গেলে একটি গুহায় বসবাস করতেন। তবে সে গুহায় বিছানা, লেপ, বালিশ, বই ইত্যাদি ছিল। গ্রামবাসী উ হুই সি’র সাথে কায়িক পরিশ্রম করেছেন সি এবং একসঙ্গে জীবনও কাটিয়েছেন। যুবক সি’র স্মরণ করে তিনি বললেন, চিন পিংয়ের সাথে জীবন কাটানোর অভিজ্ঞতা বেশ উষ্ণ ও রহস্যময়। কারণ, তাঁর জানার পরিধি অনেক বেশি, তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।

উ আরও বলেন, “তখন তার বইগুলো দেখতে ইচ্ছে হতো, কিন্তু  তা ভাষায় প্রকাশ করতে লজ্জা পেতাম। বুঝতে পেরে সি বলেন, ‘যে কোনো পড়তে চাইলে, তুমি নিয়ে যাবে’”। বইয়ের কোনো বিষয় বুঝতে না-পারলে তিনি জিজ্ঞেস করতেন, যুবক সি সেগুলো ধৈর্যসকারে বুঝিয়ে দিতেন।

লিয়াংচিয়াহ্য গ্রামে নিরক্ষরতা দূরীকরণ ক্লাসে সি চিন পিংয়ের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা_fororder_xjp4

গ্রামবাসী উ’র মতো আরও অনেকের অভিজ্ঞতা এমন। তখন থেকেই স্থানীয় গ্রামবাসীদের জ্ঞানের পরিসর বাড়াতে চেষ্টা করতে শুরু করেন সি। একদিন গ্রামের সিপিসি’র কমিটির অধিবেশনে সি প্রস্তাব করেন, “আমাদের গ্রামে যুবক উ হুই’র মতো অনেকে পড়াশোনা করতে আগ্রহী। যুবকরা যদি নিরক্ষর থাকে, তাহলে তাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে না। আমি নিরক্ষরতা দূরীকরণে একটি ক্লাস চালু করতে চাই। সবাই একসাথে লেখাপড়া করলে কেমনহয়?” তখন লিয়াংচিয়াহ্য গ্রামের অনেক গ্রামবাসী নিরক্ষর ছিল। তাই এ প্রস্তাব ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। নিরক্ষরতা দূরীকরণের ক্লাস দ্রুত শুরু হয়। প্রতিদিন রাতে ডিনারের পর এবং বৃষ্টিকালে ক্লাস চলে। সেই সময় পড়াশোনার জন্য কোনো বই-পুস্তক ছিল না। তাই সি নিজে চীনা অক্ষরের কার্ড তৈরি করেন এবং সেই কার্ড দিয়ে সবাইকে শেখাতে শুরু করেন। ১, ২, ৩ গণনা করা থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও নিয়মিত ব্যবহারযোগ্য অক্ষরগুলো সবার আগে শিখিয়ে দেন। সহজ অক্ষর শেখানো পর তিনি ধীরে ধীরে জটিল অক্ষরগুলো বোঝাতে শুরু করেন। অক্ষর শেখানো ছাড়া তিনি প্রাচীনকালের ঐতিহাসিক ঘটনাবলী সবাইকে শোনাতো থাকেন। রাজপরিবারের গল্প, প্রাচীনকালের বিভিন্ন রাজবংশের গল্প তিনি সহজ ভাষায় সবাইকে শুনিয়েছেন। সবাই তাঁর গল্প শুনে বেশ মজা পেতো।

লিয়াংচিয়াহ্য গ্রামে নিরক্ষরতা দূরীকরণ ক্লাসে সি চিন পিংয়ের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা_fororder_xjp3

কয়েক দশক পর স্থানীয় গ্রামবাসী চাং ওয়ে পাং এ স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, ‘আমি সি চিন পিংয়ের কাছ থেকে গল্প শুনতে বেশ পছন্দ করতাম। আমার বেশি জ্ঞান ছিল না এবং বইও কখনও পড়িনি। তবে তাঁর গল্প শুনতে শুনতে অর্ধেক দিন পার করে দিতে পারতাম। তাঁর গল্প খুবই মজার ছিল।’

গ্রামবাসী ওয়াং সিয়ান পিং বলেন, সি’র প্রচেষ্টায় লিয়াংচিয়াহ্যর গ্রামবাসীদের জ্ঞান অন্যান্য গ্রামের চেয়ে বেশি ছিল এবং গ্রামের অনেকে অক্ষর চিনতে পেরেছে। এ সম্পর্কে সি সবসময় বলেন, শুধু পকেট সমৃদ্ধ হলে হবে না, বরং মানুষের মাথাও সমৃদ্ধ হতে হবে। বস্তুত, এটাই দারিদ্র্যবিমোচনের কার্যকর পদ্ধতি।

লিয়াংচিয়াহ্য গ্রামে নিরক্ষরতা দূরীকরণ ক্লাসে সি চিন পিংয়ের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা_fororder_xjp1

২০১৫ সালের পর থেকে চীনের দরিদ্র এলাকার শিক্ষা-উন্নয়নের উপায় নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেন সি চিন পিং। তিনি ৩ বছর ধরে ছোংছিং মহানগরের শিজু জেলার পাহাড়াঞ্চলে অবস্থিত জুং’ই প্রাথমিক স্কুলে যাতায়াত করেন এবং স্থানীয় শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকতার কাজে আরও ভালো করার উত্সাহ দেন। যুবক শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চাদের গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে বিশ্বাস করতে সি। বর্তমানে শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ পদ্ধতিতে চীনে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। লক্ষ লক্ষ দরিদ্র পরিবারের বাচ্চারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগও পেয়েছে ও পাচ্ছে। চীনের উন্নয়ন ও জন্মস্থানের সুখী জীবন বাস্তবায়নে তারাও নিজেদের অবদান রাখছে।

২০২১ সালে চীনে ৯০ লাখ ৯০ হাজার নতুন স্নাতক ডিগ্রিধারীর কর্মসংস্থান হয়েছে

প্রতিবছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে চীনের স্নাতক ডিগ্রিধারীদের কর্মসংস্থানের মৌসুম। ২০২১ সালে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারীর সংখ্যা ছিল ৯০ লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি, যা নতুন রের্কড সৃষ্টি করে। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিদেশে অধ্যয়নরত চীনা শিক্ষার্থীদের অনেকেই আবার দেশে ফিরে আসেন। তাদেরও চাকরি প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট কর্মসংস্থান প্ল্যাটফর্মের সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালে বিদেশ থেকে চীনের বিভিন্ন কোম্পানির কাছে চাকরির আবেদন পাঠানো চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৩৩.৯ শতাংশেরও বেশি ছিল। সম্প্রতি চীনের ইউথ পত্রিকার সামাজিক জরিপ কেন্দ্রে ১৬৯০ জন চীনা স্নাতক ডিগ্রিধারীর ওপর জরিপ চালানো হয়। জরিপ অনুসারে, ৯৬.৮ শতাংশ ডিগ্রিধারী কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে কিছু সমর্থন বা সাহায্য চায়; যেমন, প্রার্থীর যোগ্যতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ চাকরি পেতে পরামর্শ দেওয়া। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬১.২ শতাংশ  প্রার্থী মনে করেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এ বছর চাকরি বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি তীব্র। কারণ, বিদেশ থেকে বহু চীনা শিক্ষার্থী ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন মহামারীর কারণে।

চীনের ইয়ুননান প্রদেশের বিদ্যুত্ ও মেশিন কারিগরি একাডেমির শিক্ষার্থী লি ইয়ুন একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। বর্তমানে তিনি ইন্টারশিপ করছেন। তার অভিজ্ঞতা সম্পর্ক তিনি জানালেন, গত নভেম্বরে ক্লাস শেষ হবার পর তিনি থেকে বিভিন্ন চাকরি-মেলায় অংশ নেওয়া শুরু করেন। যারা চাকরি পেয়েছেন, তা এখন প্রস্তুতিমূলক কাজ করছেন। আর যারা চাকরি পাননি, তাদের মধ্যে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জরিপ থেকে জানা গেছে, স্নাতকধারীদের মধ্যে ১১.২ শতাংশ চাকরি খুঁজে পেয়েছেন এবং ২২.৪ শতাংশ একাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন। যারা একাধিক সুযোগ পেয়েছে, এখন তাদের সেগুলো থেকে একটি বাছাই করার পালা। আরও ৫৫.৫ শতাংশ স্নাতকধারী এখনও বিভিন্ন চাকরি-মেলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ খুঁজছেন। আরও কিছু স্নাতকধারী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জরিপ থেকে জানা গেছে, অনেক স্নাতকধারী গত বছরের শরত্কালের চাকরি-মেলায় অংশ নিয়েছেন। তাই বসন্তকালের চাকরি-মেলা তাদের জন্য পরিচিত ব্যাপার। এ ব্যাপারে তাদের অভিজ্ঞতা একটু বেশি। যারা শরত্কালের চাকরি-মেলায় যায়নি, তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ তাই বেশি। দু’বারের চাকরি-মেলার তুলনা করলে বসন্তকালে চাকরির সুযোগ একটু কম। আরেকটি ব্যাপার স্নাতকধারীদের জন্য জটিল, তা হলো ইন্টারশিপের অভাবের কারণ তাদের কাজের অভিজ্ঞতার অভাব। তাই এমন স্নাতকধারীর জন্য উপযোগী কর্মসংস্থানের সুযোগ খুঁজে পাওয়া আরও কঠিন।

এ সম্পর্কে বেইজিংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিউ লি বলেন, চলতি বছরের স্নাতকধারী এবং গত বছরে মহামারীর কারণে চাকরি না-পাওয়া স্নাতকধারীর মধ্যে প্রতিযোগিতা খানিকটা অসম। তবে যাদের ভালো প্রস্তুতি আছে এবং দক্ষতা বেশি, তাদের জন্য সেরা চাকরি খুঁজে পাওয়াও সম্ভব। শিক্ষার্থীদেরকেও পড়াশোনার সময় চাকরির জন্য কিছু প্রস্তুতি নিতে হবে, যেমন, কোন পেশা যেতে চায় তা আগেভাগে ঠিক করা, ইন্টাশিপে ভালো করা, ইত্যাদি। যদি কেউ স্নাতক হবার পর ভাবতে বসে, তাহলে অবশ্যই উপযোগী চাকরি খুঁজে বের করা তাদের জন্য কঠিনতর হবে। তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছরে যারা স্নাতক হওয়ার পর কম সময়ের মধ্যে চাকরি পেয়েছে, এমন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসেও প্রাণচঞ্চল ও আগ্রহী ছিল। যারা কোনো তত্পরতায় অংশ নিত না এবং চমত্কার দক্ষতার অধিকারী ছিল না, তাদের জন্য কর্মসংস্থান সুযোগ পাওয়াও অনেক কঠিন ব্যাপার ছিল। অনেক সেরা শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই চাকরি নিয়ে পরিকল্পনা করে। এমন শিক্ষার্থীর অধিকাংশই তাদের প্রিয় চাকরি পেয়ে থাকে।

জরিপে অংশগ্রহণকারী অনেক শিক্ষার্থী মনে করেন, এখন অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনেক চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। কিন্তু সেসব বিজ্ঞাপনের কোনটা আসল আর কোনটা নকল তা বুঝতে পারা প্রার্থীদের জন্য কঠিন। যদি সরকারের স্বীকৃত ওয়েবসাইটে চাকরির সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপন ও তথ্য প্রকাশিত হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধা হতো। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকেও তারা কিছু সহায়তা পেতে চায়। তারা চান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখবে। এর জন্য একটি আধুনিক ট্র্যাকিং সিস্টেম গড়ে তোলা উচিত। এটি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা কে কোথায় কাজ করতে সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবে এবং প্রয়োজনে তাদের সাহায্য দেবে।  

মোদ্দাকথা, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার পর চাকরির বাজারে প্রবেশ করা প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তাদের জীবনের ওপর এর প্রভাব অনেক বেশি। তাই এ বিষয় নিয়ে আরও সিরিয়াস হওয়া ও প্রস্তুতি নেওয়া ভালো। আর শিক্ষাথীরা যদি নিজেদের পছন্দমতো চাকরি খুঁজে পায়, তবে তা সমাজের সুষ্ঠু বিকালের জন্যও কল্যাণকর।

সুপ্রিয় বন্ধুরা, সময় দ্রুত চলে যায়, আজকের বিদ্যাবার্তা এখানে শেষ হয়ে এলো। আমাদের অনুষ্ঠান যারা মিস করেছেন, তারা আমাদের ওয়েবসাইটে তা শুনতে পারেন। ওয়েবসাইট ঠিকানা www.bengali.cri.cn,ফেসবুকে CRIbangla মাধ্যমে চীন ও বিশ্ব সম্পর্কে আরও অনেককিছু জানতে পারেন। তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন, আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে,যাইচিয়ান। (সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)