বিখ্যাত এ শিল্পীর আসল নাম স্যুই মেইফেং। কিন্তু তিনি সংগীত জগতে স্যুই মেইচিং নামে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ১৯৭৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হচ্ছেন সিঙ্গাপুরের একজন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী।
১৯৯২ সালে তিনি সিঙ্গাপুরের মিস চায়না প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মিস মৈত্রী এবং মিস মোস্ট ফটোজেনিক পুরষ্কার জিতেন। ১৯৯৩ সালে তিনি সিঙ্গাপুরের একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং একটি রেকর্ড কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। ১৯৯৪ সালে তিনি তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম “জানা” প্রকাশ করেন। অ্যালবামে শিরোনাম সংগীত হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয় “জানা” গানটি। আচ্ছা বন্ধুরা, তাহলে আজকের “তোমার জন্য গান” অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি আপনাদের “জানা” গানটি শোনাব।
১৯৯৬ সালের জুন ও ডিসেম্বর মাসে স্যুই মেইচিং যথাক্রমে “দুঃখ” ও “রাত্রিযাপন” নামে দু’টো অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামের শিরোনাম সংগীত “দুঃখ” ও “রাত্রিযাপন” অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাহলে বন্ধুরা, এখনই আমি আপনাদের দু’টো গান শোনাব, কেমন?
১৯৯৭ সালে স্যুই মেইচিং তাঁর পা হংকংয়ের সংগীত জগতে রাখেন। তাঁর নতুন গান ও সিলেক্টেড অ্যালবাম নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে ধারাবিহকভাবে ৩সপ্তাহ আইএফপিআই তালিকায় প্রথম স্থান ধরে রাখে। ১৯৯৮ সালে তিনি তাঁর প্রথম ক্যান্টোনিজ অ্যালবাম “ভালো মেইচিং” এবং ইপি “শুধুই বন্ধু” প্রকাশ করার মাধ্যমে সঙ্গীত জগতে পুনরায় ঝড় তুলেন। বন্ধুরা, তাহলে এখন আমি আপনাদের স্যুই মেইচিংয়ের একটি ক্যান্টোনিজ গান শোনাই। কেমন? গানের নাম “অতি সুন্দর”। শুনুন তাহলে গানটি।
“বিস্তার” গানটি স্যুই মেইচিংয়ের গাওয়া গানগুলির অন্যতম। গানটি ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত তাঁর একটি অ্যালবামের শিরোনাম সংগীত। ১৯৯৯ সালে গানটি পঞ্চম চ্যানেল [ভি] সেরা জনপ্রিয় টপ-২০ গান পুরষ্কার জিতে। আচ্ছা, বন্ধুরা, এখন আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো, কেমন?
বন্ধুরা, “চাঁদনি” স্যুই মেইচিংয়ের ১৯৯৬ সালে গাওয়া একটি মন মাতানো গান। গানটি ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত তাঁর একটি সিলেক্টেড অ্যালবামে স্থান পায়। ক্যান্টোনিজ ভাষায় তিনি এটি গেয়েছেন। গানের ম্যান্ডারিন ভাষার সংস্করণও আছে। সেটি ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত “দুঃখ” নামের অ্যালবামে অন্তর্ভূক্ত হয়। বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের গানটির ক্যান্টোনিজ সংস্করণ শোনাতে চাই, আশা করি, আপনাদের ভাল লাগবে। শুনুন তাহলে গানটি।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, গান শুনতে শুনতে আমরা আজকের ‘তোমার জন্য গান’ অনুষ্ঠানের একদম শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। তবে, অনুষ্ঠানের শেষে আমি আপনাদের আরেকটি গান শোনাতে চাচ্ছি। গানের নাম “শুধুই বন্ধু”। আশা করি, আজকের অনুষ্ঠান আপনাদের ভালো লেগেছে। (প্রেমা/এনাম)