মধ্য-শরত্ উত্সব সারা বিশ্ব জুড়ে চীনাদের একটি ঐতিহ্যবাহী উত্সব। থাইল্যান্ডে চীনাদের সংখ্যা অনেক বেশি। সেখানে মধ্য-শরত্ উত্সব উদযাপনের প্রথা প্রাচীনকাল থেকে শুরু হয়। থাই চীনারা কীভাবে মধ্য-শরত্ উত্সব উদযাপন করে? থাই মানুষ কী ধরনের মুনকেক খেতে পছন্দ করে? উত্সব উপলক্ষ্যে আমরা থাইল্যান্ডে চায়না মিডিয়া গ্রুপের সংবাদদাতার সাথে ব্যাংককের চায়নাটাউনের একটি পুরনো কেকের দোকান পরিদর্শন করবো।
ব্যাংককের চায়নাটাউনের এই দীর্ঘ-প্রতিষ্ঠিত কেক দোকানে সময় যেন থেমে গেছে। এই দোকানের কেবল কেক তৈরির পদ্ধতিই ভিন্ন নয়, বরং এর প্যাকেজিংয়ের নকশাও পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া। এমন প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কাগজের প্যাকিং এখন খুব কম দেখা যায়।
স্থানীয় চীনা মানুষ বলেন, এটি হলো থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বিখ্যাত ছাওশান কেকের দোকান। এ দোকানের ৮০ বছরেরও বেশি ইতিহাস রয়েছে এবং বর্তমান দোকানের মালিক হলেন পরিবারটির পঞ্চম প্রজন্ম। গুরুত্বপূর্ণ উত্সবে স্থানীয় চীনা পরিবারগুলো এখানকার কেক বেশ পছন্দ করে।
একজন গ্রাহক বলেন, “আমরা থাই চীনা বংশোদ্ভূত মানুষ। আমাদের মধ্যশরত্ উত্সবের সময় আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের বাড়িতে পূজা করি। সাধারণত আমরা ১০টি মুনকেক কিনি। এ বছর আগের বছরের চেয়ে একটু কম কিনেছি। কারণ মহামারীর কারণে অর্থনীতি ভালো নয়। কিন্তু এখনও বাড়িতে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
দোকানের মালিক শেং ছাই বলেন যে, মধ্যশরত্ উত্সবের সময় সেরা বিক্রেতা হলো ডুরিয়ান স্টাফড মুন কেক, থাইদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। ডুরিয়ান স্টাফড মুনকেক ছাড়া অন্যান্য স্বাদও খুব জনপ্রিয়।
থাইল্যান্ডে কোভিড-১৯ মহামারী কয়েক দফায় পুনরাবৃত্তি হয়েছে। তবে দোকানের মালিক বলেছেন যে, কঠিন হলেও মুনকেকের দাম বাড়েনি।
কারণ মধ্যশরত্ উত্সবের সময় প্রত্যেক পরিবারে অবশ্যই উত্সবের পরিবেশ থাকতে হয়, মুনকেক অবশ্যই থাকবে। মহামারীর কারণে প্রত্যেকের জীবন সহজ নয় এবং আয়ও কমেছে। এ কারণে, যদি মুনকেকের দাম বাড়ে তাদের মধ্যে অনেকেই মুনকেক কিনবে না, তবে উত্সবের আমেজ অনেক কম হবে।
কেকের দোকানের মালিক শেং বলেন, মধ্যশরত্ উত্সব হলো সব চীনাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উত্সব। আশা করি, সবাই মুনকেক খেতে পারবে এবং উত্সবের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে। তিনি বলেন, “আমি আশা করি সবাই মহামারী মোকাবিলা করবে এবং অসুবিধা কাটিয়ে উঠবে। আমি আশা করি মহামারী যত তাড়াতাড়ি শেষ হবে, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হবে।”