সেপ্টেম্বর ২৪: আজ (শুক্রবার) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হংকংয়ে মার্কিন হস্তক্ষেপ এবং চীন-বিরোধী ও হংকংয়ে-হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ডের তালিকা প্রকাশ করেছে। এসব প্রমাণ থেকে, লোকজন হংকং ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত মানদণ্ড ও কপট আচরণ বুঝতে পারবে; অন্যদিকে হংকংকে বিশৃঙ্খল করার মাধ্যমে চীনের উন্নয়ন রোধের অপচেষ্টাও বুঝতে পারবে। এসব মন্তব্য করেছে সিএমজি সম্পাদকীয়।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, এই তালিকা থেকে লোকজন আরো দেখতে পারবে যে, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানবাধিকার, আইনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কপট ‘দ্বৈত মানদণ্ড’ কতটা হাস্যকর। যুক্তরাষ্ট্র বার বার উক্ত অজুহাতে হংকং ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করে, হংকংয়ের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আইনের অপবাদ করে এবং হংকংয়ের নির্বাচনব্যবস্থা সুসংহতকরণকে বাধা দেয়। তবে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড খুব খারাপ।
যেমন, গত ছয় মাসে মহামারি প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে, জনগণের মানবাধিকার এতে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার আফগানিস্তানে সেনা প্রত্যাহারের সময় গুলি করে নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের বহিষ্কারও করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে চলমান জাতিসংঘ মানবাধিকার নির্বাহী পরিষদের ৪৮তম অধিবেশনে বেশ কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দাও করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র হংকংকে বিশৃঙ্খল করার মাধ্যমে চীনের উন্নয়ন প্রতিরোধ করতে চায়, এটি নিশ্চয় ব্যর্থ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেওয়া, ‘শাস্তি-বিরোধী আইন প্রণয়ন’ এবং এবং ‘প্রমাণ তালিকা’ প্রকাশের মতো চীন নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। তাতে চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রমাণিত হয়েছে, দেশের স্বার্থ ও মর্যাদা ক্ষতিগ্রস্তকারী যে কোনও আচরণের অবশ্যই জবাব দেবে চীন।
(শুয়েই/তৌহিদ/লিলি)