করোনা পরিস্থিতি উন্নতির উপর নির্ভর করছে বিদেশি পর্যটক আসা না আসা
2021-11-25 20:13:19

আজহার লিমন, ঢাকা: যেন সাগরের সঙ্গে মিলবার দীর্ঘ প্রতিক্ষার এক সমাপ্তি। করোনা মহামারিকালের দীর্ঘ বিরতির পর কক্সাবাজার সমুদ্র সৈকতসহ দেশের প্রায় সকল পর্যটনকেন্দ্রে এভাবে ভীড় করছেন পর্যটকরা।

করোনা পরিস্থিতি উন্নতির উপর নির্ভর করছে বিদেশি পর্যটক আসা না আসা_fororder_b8

এরইমধ্যে ভ্রমণ পরিচালনা কোম্পানিগুলোরও বেড়েছে ব্যস্ততা। সচল হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট। আর এ নিয়ে আমার কথা হচ্ছিলো, ঢাকার ট্যুর অপারেটর হাদিউজ্জামানের সঙ্গে।

করোনা পরিস্থিতি উন্নতির উপর নির্ভর করছে বিদেশি পর্যটক আসা না আসা_fororder_b9

ছবি: হাদিজ্জামান।

তিনি বলছিলেন, করোনা দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ থাকার পর আবার সবকিছু সচল হলেও এখনও পর্যটনে অনুপস্থিত বিদেশিরা। তার ধারণা আসছে বছরের শুরুর দিকে সবকিছু হবে স্বাভাবিক।

 

করোনাকালীন সময়ে বন্ধ ছিলো দেশের ছোটবড় ১ হাজার পর্যটনকেন্দ্র এবং এটা ঠিক এই অভিঘাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ খাতগুলোর অন্যতম পর্যটন খাত। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিল-ডব্লিউটিটিসির এক হিসেব বলছে, ২০১৯ সালে পর্যটন খাত জিডিপিতে যেখানে ৮০ হাজার ৪৫০ কোটি টাকার অবদান রেখেছে, সেখানে ২০ সালে তা ৫৫ হাজার ৯৬০ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে কর্মহীন হয়েছে পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় ৪ লাখের মত কর্মী। বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন টোয়াবের প্রেসিডেন্ট মো. রাফিউজ্জামানকে প্রশ্ন করেছিলাম, মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারে কতটা সঠিক অবস্থানে আছে বাংলাদেশের পর্যটন?

করোনা পরিস্থিতি উন্নতির উপর নির্ভর করছে বিদেশি পর্যটক আসা না আসা_fororder_b10.jpg

ছবি: মো. রাফিউজ্জামান

 

তিনি বলেন, ‘ডোমেস্টিক ট্যুরিজম এগোচ্ছে। ইন বাউন্ড এবং আউট বাউন্ড এখনও শুরু হয় নি। প্রত্যেকটি জায়গা যখন স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে, ফ্লাইটগুলো যখন স্বাভাবিকভাবে অপারেশন শুরু করবে, তখন ইন বাউন্ড, আউট বাউন্ড ট্যুরিজমটা শুরু হবে। আমাদের মনে হচ্ছে আসছে জুন নাগাদ এটা পুরোপুরি শুরু হবে না।’

পর্যটন খাতের শিল্পোদ্যোক্তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে এক হাজার কোটি টাকা ঋণ সুবিধা ঘোষণা করে সরকার। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রজ্ঞাপনে ঋণ সুবিধার আওতাভুক্ত কারা হবেন তার বিস্তারিত বিবরণ না থাকায় ঋণ পাচ্ছে না এখাতের বড় একটি অংশ।