Web bengali.cri.cn   
'আমি আর সিআরআই'র সম্পর্ক সে আজ থেকে চারদশক।
  2010-12-03 10:58:41  cri
বাংলাদেশের পাবনা জেলার সিআরআই শ্রোতা সংঘের পরিচালক রফিকুল আজিজ তাঁর প্রবন্ধে বলেছেন, 'আমি আর সিআরআই'র সম্পর্ক সে আজ থেকে চারদশক। আগে রেডিও পেইচিং শোনার মাধ্যমে ও শোনার শুরু হয়ে অদ্যাবধি তা বিদ্যমান সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠান না শুনলে পেটের ভাত হজমই হয় না। বর্তমানে রাত এবং পরদিন সকাল দিয়ে চারবার এর অনুষ্ঠান পুরের ১ ঘন্টা শুনতে হবে নাইলে মনের মধ্যে শান্তি পাব না। কারণ রেডিও পাগুল একেই বলে। সেই রেডিও পাগল ব্যাক্তি আমি এবং আমার পরিবার সেই সাথে উপরোক্ত শ্রোতা ক্লাবের সবাই। কেননা সারাদিনের কাজবাজ শেষে রাতের যানা পিনা শেষে করে সবাই এক দৌরে চলে আসে আমাদের এ শ্রোতা ক্লাব ঘড়ে এসে জড় হয়ে সিআরআই'র অনুষ্ঠান শুনে তারপর অন্য কোথাও যাবে। এই টিভি, সিডি, ইন্টারনেট কম্পিউটারের যুগেও এমন প্রক্রিয়ায় রেডিও অনুষ।ঠান শোনার ধরণ চালু রয়েছে এ শ্রোতা ক্লাবে। যা স্ব চক্ষে কেউ না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না যে এখনো মানুষ এমনি ভাবে রেডিও শোনে। এ বেতারের অনুষ্ঠান শুনে চীন সম্পর্কে অনেক অনেক অজনা তথ্য জেনেঠি যা এ বেতার না শুনলে সম্ভব পর হতো না। এ ছাড়াও এর বিভিন্ন জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বহু পুরস্কারও পেয়েছি। এক কথায় এ বেতার শোনায় নিজেকে ধন্য মনে করছি। তাই এ বেতারের ৮০ বছর পুর্ত্তিতে এর আরো দীর্ঘায়ূ কামনা করে এর সবার সার্বিক মঙ্গল কামনা করে কলম তুলছি। ধন্যবাদ।'

বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার নূরজাহান খাতুন তাঁর প্রবন্ধে বলেছেন, 'আমি সবে মাত্র রেডিও শোনা শুরু করেছি আর ঠিক সেই সময় আমার বন্ধু মোহেল জানালেন চীন থেকে বাংলাই অনুষ্ঠান প্রচার হয় সময়টা ছিল ১৯৯৩ সালের জুন মাস আর তখন থেকে চেষ্টা চালিয়ে যায় অনুষ্ঠান শোনার জন্য। চেষ্টা চালাতে চালাতে ঠিকই একটি অনুষ্ঠান শুনতে পেলাম খুবই ভাল লাগলো। চীনাদের কন্ঠে বাংলা শুনতে পেরে। সত্যই আমি মুগ্ধ হলাম অনুষ্ঠান শুনে। সেই থেকে আর কোন পিছুটান নয় নিয়মিত অনুষ্ঠান শোনা এবং আমার জিজেস্ব মতামত পাঁঠাতে শুরু করলাম। এভাবে লিখতে লিখতে একদিন চীন থেকে একটি খাম আসলো। সেখানে পেলাম নতুন অনুষ্ঠান সূচী উপস্থাপক সবার ছবি এবং কিছু সুন্দর ছবিযুক্ত ভিউকার্ড আমি আর একবার চমকে উঠলাম। আর তখনই মনে ইচ্ছা জাগলো চীন ভ্রমন করার জন্য। আমি আশা করছি সিআরআই আগামীতেও আমার পাশে বন্ধুর মত সবসময় আমাকে প্রেরনা জোগাবে।'

বাংলাদেশের পাবনা জেলার হরিপুর বাজার আন্তর্জাতিক রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের আবু হানিফা তাঁর প্রবন্ধে বলেছেন, '১৯৬৯ সাল পয়লা জানুয়ারী চীন প্রথম বাংলা অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করে। তখন এই বেতার কেন্দ্রের নাম ছিল বেডিও পিংকিং তাহার রেডিও বেইচিং নাম বাংলা অনুষ্ঠান প্রচার করিত। প্রতিদিন আধা ঘন্টার অনুষ্ঠান প্রচার হইত। এরপর হইতে তাহার নামে হইতেছে সিআরআই। এই ৪০ বত্সরে পর পর ৩৭জন চীনা কর্মী ও ১০জন বাঙ্গালী বিশেষজ্ঞ নিঃস্বার্স অবকানের কমল আজকের সিআরআই আমি সে দিন থেকে এই অনুষ্ঠান শুনে আসছি। তাহাতে চীন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানিতে পারিয়াছি। এখন সিআরআই এক ঘন্টার অনুষ্ঠান প্রচার করিতেছে। ২০০৪ সালে নভেম্বর মাস থেকে এক মাত্র চীন বাংলা ওয়েবসাইট চালু করিয়াছে। এর মধ্যে আমি তুমি সে পত্রিকা প্রকাশ করিয়াছিল বর্তমানে ২০০৮ সারে পুরের জানালা ম্যাগজিন প্রকাম করিয়াছে। চীনা কর্মীদের সহযোগিতায় সিআরআই এগুতে এগুতে পারিয়াছে। আমি এই বেতারে বাংলা বিভাগের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করি।'

ভারতের পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ দিনাজপুরের বিধান চন্দ্র মান্যাল তাঁর প্রবন্ধে বলেছেন, 'আজ সৌভাগ্যবশত: আমার বয়সও ৮০ বছর। প্রাথমিক শিক্ষকতার পেশায় নিজের পারিবারিক বিবাহিত জীবন যাপন বারেও কিন্তু সিআরআই'র বাংলা অনুষ।টানের সাথে সম্পর্ক ছেদ হয়নি। সিআরআই'র বাংলা বিভাগ চীন পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশকে শুধু কাছাকাছি আনেনি, এদের ভাষা সংস্কৃতিকও এমন এক মেলবন্ধনে বেঁধেছে, যা দিন দিন দৃঢ় হয়ে চলেছে। পারসম্পকরিক ভাষা সংস্কৃতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও বোঝা পড়ার অন্বষায় সহযোগিতার নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পেরেছে। বাস্তবিক অর্থে সিআরআই'র বাংলা বিভাগকে বলা যেতে পারে মৈত্রীর সেতু।'

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040