Web bengali.cri.cn   
আমার চোখে চীন
  2010-12-03 10:58:41  cri
বাংলাদেশের রাজশাহি জেলার একতা ইন্টারন্যাশনাল রেডিও লিসনার্স ক্লাবের নার্গিস পার্ভীন তাঁর রচনায় একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতার নাম হল আমার চোখে চীন

আমার চোখে চীন

যুগান্তরের অপরূপ।

বাদশা জাদার মেঘ বিহঙ্গের

পাখায় বসে-দিগন্তে চারনা

আলাদ্দীনের আশ্চর্য প্রদীপ

পূর্ণিমা পূরীর সুন্দরী ললনা

অপরূপ স্বর্গের হুরপরী।

আমার চোখে চীন

দান্তিক এভারেষ্ট মাউনটেন

অপরাজিত সৈনিক যুগান্তরের

উথলে উঠা প্রলংকারী উচ্ছাস,

চমকে উঠা বিদ্যুতের ঝলকানি।

আমার চোখে চীন-কখনো

প্রাবনের ভয়ংকরী রূপ অথবা-

প্রশান্ত মহাসাগরের অথৈয় জল

ঢেউয়ের দাপাদাপি এবং

চেংগিস হালাকু খানের অপরাজিত তরবারী।

চির অম্নান।

আমার চোখে চীন-

সভ্যতার শিরোমণি, ক্রমবিকাশ ও

বিবর্তনের অগ্রদূত।

জ্ঞানী তাপসের উত্সস্থল, কেন্দ্রবিন্দু

জ্ঞানের অফুরন্ত ভান্ডার।

আমার চোখে চীন-

বসন্তের কোকিলের সুমধুর কণ্ঠস্বর,

একগুচ্ছ রক্তজবা অথবা গোলাপ।

বিধাতার সৃষ্টির সৌন্দর্য্য সৌষ্ঠর,

পরন্ত বিকেলের চিকচিকে রোদের ঝলকানি,

সাগর তলের অজস্র মাণিমুক্তা।

বাংলাদেশের রাজশাহি জেলার একতা ইন্টারন্যাশনাল রেডিও লিসনার্স ক্লাবের এস.এম.জে.হাবিব তাঁর রচনায় চীনের রাজনীতি, অর্থনীতি, সভ্যতার, শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রের উন্নয়ন, মানবাধিকারের অগ্রগতি এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোয় চীনের ভূমিকা বিষয়ক কথা লিখেছেন। তিনি চীনা মানুষের মত চীনকে জানেন এবং নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৬০বছরের সাফল্যের প্রশংসা করেছেন। তিনি এমন লিখেছেন, উদ্যোম, নিষ্ঠা এবং নিরলস পরিশ্রমের ফল যে কোথায় পৌঁছাতে পারে এশিয়ার দেশ চীন তার বাস্তর প্রামাণ। গোড়া থেকেই পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে চীনের বনিবনা না থাকলেও বহির্বিশ্বে বন্ধু খোঁজার তাগাদা প্রথম থেকেই অনুভব করেছিল। আয়তনে এশিয়ার বৃহত্ এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তর চীন বর্তমান বিশ্বে অন্যতম ধনী, শিল্পোন্নত দেশের মর্যাদা পাওয়ার নেপথ্যে কঠোর বাস্তব জীবনবোধের প্রতিফলন হয়েছে। সরকারের প্রতি চরম আনুগত সামরিক ঐতিহ্য এবং বিজ্ঞানী মহলের চেষ্টার ফলে চীন ভৌগলিক পরিকাঠামোগত দিক দিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়লেও সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে বেশীদিন সময় নেয়নি। প্রায় ৫০০০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীনের নিযোক্ত সম্পর্ক মূলত: ১) বিভিন্ন আঞ্চলিক সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান, ২) অস্ত্র-সংবরন এবং গোটা বিশ্বের নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে সাওয়াল করা, ৩) বিশ্ব অর্থনীতি আরো চাঙ্গা করতে উদ্যোগ গ্রহন করা এবং ৪) বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ গুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে অবদান রাখতে চীনের সরকারী উন্নয়ন একটা গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। শুধু অর্থনীতিই নয়, কারিগরি সহযোগিতার ক্ষেত্রেও সাহায্য করে আসছে। সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক দুনিয়ার 'বাণিজ্য যুদ্ধ' একটা পরিচিত শব্দ। চীনের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে অর্থনীতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। অর্থনীতিতে সমৃদ্ধশালী চীন দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে আসছে। সম্প্রতি চীন ঘোষণা করেছে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তহবিল গঠনের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ দেবে। তবে বরাদ্দকৃত অর্থ পরিকল্পনা খাতে ব্যয় করতে হবে বলে চীন জানিয়েছে।'

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040