ভারতের পশ্চিম বঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার অন্ঞ্জনা রায় লিখেছেন, জীবনের অনেকগুলো স্টেশন পেরিয়ে এসে দেখি, সময়ের চলন্ত ট্রেন থেকে খসে পড়া একটি বগি পড়ে আছে রেল লাইনের পাশে। সেখানে আছে শুধু দুঃখ ও বেদনাময় দিন, বন্ধুত্বহীন জীবন, একাকী নিতান্ত একাকী বিছিন্ন জীবনের প্রতিনিধি হয়ে থাকা আর দুঃখ বেদনার ম্যারাথন রেসে যোগ দিয়ে দুফোটা চোখের জল ফেলা। এই নিয়েই আমি দিনাতিপাত করতাম। এমনি দুঃসময়ে ২০০০ সালের এক পূর্ণিমা রজনীতে রজনীগন্ধার সুগন্ধির সাথে সি আর আই'র বাংলা অনুষ্ঠানের সুমধুর কন্ঠস্বর ভেসে আমার কর্ণকূহরে প্রবেশ করল। প্রথম পরিচয়েই সিআরআইকে আমি ভালবেসে ফেললাম। নিয়মিত সিআরআই'র কথা শুনতে শুরু করলাম। তারপর থেকে প্রতিদিনই একাকীত্বের সীমা পেরিয়ে হারিয়ে যেতে থাকি শোষিত, বঞ্চিত, অত্যাচারিত মানুষের প্রতিবাদের মিছিলে, জ্ঞানের মহাসমুদ্রে, সৌন্দর্যের স্বর্ণ দ্বীপে। এ যেন চাতক পাখির দীর্ঘ প্রত্যাশার পর এক বিন্দু জল পেয়ে তৃঞ্চা নিবারণ। শান্তি, পরম শান্তি। সিআরআই'র কথা শুনতে শুনতে আমি উপলদ্ধি করি, সিআরআই বিশ্বের সকল গুরুত্বপূর্ণ সংবাদের দ্রুততম বার্তাবহ, প্রমোদ বিতরণ ও শিক্ষা বিতিরণের দক্ষ কারিগর, অ দেখাকে দেখার বাতায়ন, বিশ্বমানবের মহামিলনের বিশ্বস্ত দূত। সিআরআই'র কথা শুনতে শুনতে আমার অনুসন্ধতসু মনটা দেশ কালের সীমানা পেরিয়ে চলে যায় চীনের আনাচে কানাচে। সেখানে খুঁজে পায় চীনা শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, চীনাদের জীবন যাত্রার মান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাঠামো। অন্ঞ্জনা রায় আপনি আমাদের অনুষ্ঠান শুনে অনেক বেশি জানতে পারছেন চীন সম্পর্কে এতে সত্যিই আমরা অনেক আনন্দিত। আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠান শোনা ও ওয়েবসাইট দেখার মাধ্যমে আরো বেশি জানবেন ও আনন্দ পাবেন।
ভারতের পশ্চিম বঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের আরেকজন শ্রোতা প্রচীর মন্ডল মানদাল তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ১৯৯৪ সাল আমি তখন যৌবনের সবুজ ভূমিতে বসে অজানাকে জানা, অচেনাকে চেনা অদেখাকে দেখার চিরন্তন প্রবৃত্তি ব্যস্ত নগরীর প্রাণ কেন্দ্রের মত, ভিড় করে আমার মনে। এই প্রবৃদ্রিকে সার্থকতার সনালী আলেয় আলেকিত করবার অভিলাষে আমি বেতার যন্ত্র কিনি। তারপর একদিন বেতার যন্ত্রের নব ঘুরাতে ঘুরাতে সিআরআই'র সাথে আমার পরিচয় ঘটে। প্রথম পরিচয়েই সিআরআইকে আমি আমার হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান দিই। তারপর থেকে নিয়মিত সিআরআই'র কথা শুনতে থাকি। সিআরআই'র কথা শুনতে শুনতে আমি অনুধাবন করি, সিআরআই শোষিত বঞ্চিত নিষ্পোশিত মানুষের মুক্তিদাতা, নারীর আপন ভাগ্য জয়ের প্রেরণাদায়ী, কোকিলের সুমধুর সুর মূর্চ্ছনায় শ্রবনেন্দ্রিয় তৃপ্তকারী, মানুষের অজ্ঞানতার অন্ধকারে জ্ঞানের চিরন্জয়ী মশাল প্রজ্জ্বলনকারী ও মানুষে মানুষে সম্প্রীতির রাখী বন্ধনকারী। তাই সিআরআই'র সৃষ্টিতে আমি লীন হয়ে আছি ১৫ বছর ধরে। সিআরআই'র সৃষ্টি সম্ভারে মহত্তর হয়েছি আমি ও অনেকেই। প্রচীর মন্ডল আপনি আমাদের আরেকজন আন্তরিক শ্রোতা। আপনার মত এত ভাল শ্রোতা পাওয়ার জন্য আমা অনেক আনন্দিত। আমাদের অনুষ্ঠানগুলো শোনারজন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।