বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার আবদুল হাদী তাঁর রচনায় লিখেছেন, সিআরআইকে ধন্যবাদ এরকম একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার জন্য। অনেক পুরানো শ্রোতা হিসেবে সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠানে বহুদিন ধরে সম্পুক্ত। চীনের কৃষ্টি সংস্কৃতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে যেমন চীন সম্পর্কে জানতে পারি তেমনি বিভিন্ন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। অপরদিকে বিশ্ব ক্রীড়া আসর অলিম্পিক গেমস ২০০৮ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চীনে। জমকালো আয়োজনে বিশ্ববাসী আরো বেশী করে চীনকে জানতে পারল। ১৯৪৯ সালে নয়াচীন প্রতিষ্ঠালগ্ন যেখানে চীনের মাথাপিছু জিডিপির পরিমান ছিল মাত্র ৫০ মার্কিন ডলার তা ২০০৮ সালে বেড়ে গিয়ে ৩০০০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে যা অভূতপূর্ব উন্নত। অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, কূটনৈতিক ও প্রযুক্তিগতসহ সার্বিক উন্নতি বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়। এ উন্নতি বিশ্বসভায় চীনের স্থানকে পাকাপোক্ত করেছে। পরাশক্তি পঞ্চশক্তির একটি চীন তাদের কূটনৈতিক উন্নতির সাথে প্রযুক্তিরও প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। ১৯৪৯ সালের খাদ্যের ঘাটতির দেশ ২০০৮ সালে চীনে কোটি টন উত্পাদন ছাড়িয়ে গেছে। ২৬কোটি দরিদ্র হতে ১কোটি ৫০লাখ থেমে এসেছে। এক কথার চীনেএর দিকে তাকালে বিস্মিত হতে হয়। গত ৬০ বত্সরে চীনের সর্বস্থরের জনসাধারণের সার্বিক প্রচেষ্টার ফলে এ উন্নতি সম্ভব হয়েছে। চীন আমাদের পর্ববর্তী বন্ধু প্রতীম দেশ। দেশটি উত্তর উত্তর উন্নতি করুন এ কামনা করি। উন্নয়নের রূপকার সফল জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা। সিআরআই বাংলা বিভাগের সকল কলাকুশলী ও শ্রোতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি। আবদুল হাদী, আপনি চীনকে এত বেশি জানার জন্য আমাদের অনেক আনন্দিত লাগে। কারণ এতে প্রতিফলিত হয় যে, আমাদের অনুষ্ঠানগুলো আপনাদের জন্য অনুকূল। আপনি চীনকে অভিনন্দন জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, ভবিষ্যতে আপনি চীন ও আমাদের অনুষ্ঠানে আরো বেশি মনোযোগ দেবেন।
বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার সিআরআই শ্রোতা সংঘের সম্পাদক তুষার রায় রনি তাঁর রচনায় লিখেছেন, চীন প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এ সুখবরে আমি গর্বিত। তাই চীনকে জানাই এক গুচ্ছ রজনী গন্ধ্যার শুভেচ্ছা। চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ৬০ বছর অতিক্রম করতে যাচ্ছে। এই ৬০ বছরে চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির নেতৃত্বে চীনা জনগণ সমাজতন্ত্র গঠনের পথে নানা বাধাঁবিঘ্ন অতিক্রম করে বিরাট সাফল্য অর্জন করেছেন এবং দরিদ্র ও অনুন্নত পুরনো চীনকে প্রাথমিকভাবে সমৃদ্ধিশালী সমাজতন্ত্রিক চীনে রূপান্ডরিত করেছেন সে জন্য আমার অভিনন্দন রইল। চীনের জনগণ সমাজতন্ত্রিক গঠনকাজে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকেরই অভিজ্ঞতার সারসংকরণ করছেন, যাতে ভবিষ্যতে তাঁরা এই ব্রত আরও ভালভাবে সম্পন্ন করতে পারেন এবং সল্ল সময়ের মধ্যে একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। চীনের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্বন্ধে বর্ণনা করতে নেলে অনেক অনেক দীর্ঘ আলোচনা করতে হয়। চীনের প্রকৃতিক পরিবেশ এবং চীনের বর্তমান বাস্তব অবস্থা ও অতীত ইতিহাস খুবই বর্ণনাময়। চীনের ভূ সংস্থা নানা তারতমা ও রূপবেচিত্র্যে ভুপুর। চীনের জলবায়ু প্রকৃতিক সম্পদ, জাতিসমূহ এবং অপূর্ব সৃষ্টি। এ সব নিয়ে বলে এক অপরূপ বিশাল দেশ। চীনের ৬০ বছর পূর্তিতে, বহু বাধাঁ বিপর্যয়ের সীমানা পেরিয়ে, উন্নয়নের হাতিহার হয়ে মানব কল্যানের রূপ ধরে এগিয়ে চলেছে তার উন্নয়নের ধারা। গোটা বিশ্বের সৌহার্দ্য, সস্ত্রীতি ও মৈত্রীর সেতুবন্ধ স্থাপন করে বলেছে। চীনের এ সাফল্য আমি উত্ফুল্ল। চীনের এ উন্নয়নের ধারা ভবিষ্যত প্রজন্মও ধরে রাখবে। প্রগতির ইতিহাসে স্থাপন করবে এক প্রজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।