বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার আনোয়ার হোসেন লিখেছেন, "সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী সর্ম্পকে জানতে পেরে আমারও চীনা জনগণের মতো দেশ সেবা করার আগ্রহ হচ্ছে। গত ৬০ বছর ধরে চীন সরকার ও জনগণ দেশের সেবা ও দেশ গঠনের কাজ করে চলেছে। নয়া চীন ৬০ বছরে জাতীয় শক্তির উন্নয়ন, কূটনৈতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কূষি ও আইন গঠনের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। চীন আইনী, কৃষি, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও কূটনৈতিক ক্ষেত্র আরো সাফল্য অর্জন করুক আর সারা বিশ্বে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ুক নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকীতে সেই কামনা করি।"
বাংলাদেশের চাপাইনবাবগন্ঞ্জ জেলার আবু টি.এম. মমিনুল ইসলাম লিখেছেন, "সাম্য, মৈত্রী, আইনের শাসন, পারস্পরিক কল্যাণ, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, শোষণ-বঞ্চনাহীনতা ও আত্মনির্ভরশীলতার প্রতীক-কনফুসিয়াস, সান ইয়াত সেন আর মাও সেতুং'র চীন সালাম, তোমাকে সালাম। তোমার কথা মনে করতে শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে যায়। কেননা, এই তুমি নিকট অতীতে তোমার অবুঝ সন্তানদের দু'বেলা পেট পুরে দু'মুঠো খাবার দিতে না পারলেও, ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে তথাকথিত প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরনি। বরং তুমি সঠিক সময়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা, অভ্যন্তরীন সম্পদের সদব্যবহার, সংস্কার আর উন্মুক্তকরণ নীতির সঞ্জীবনী মন্ত্র দীক্ষিত করে তোমার কর্মপাগল আত্মপ্রত্যয়ী সন্তানদের নিয়ে দেশ পুনর্গঠনের কাজে ঝাপিয়ে পড়েছ। আজ তুমি খাদ্যে স্বনির্ভরশীলতা অর্জনসহ বিশ্ব অর্থনীতি, রাজনীতি, ক্রীড়াক্ষেত্র, বিশ্বশান্তি, শিক্ষা-গবেষণা, তথ্য-প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছ। মহাসাগরের তলদেশ থেকে মহাকাশের শীর্ষদেশ সর্বত্রই আজ তোমার গর্বিত পদচারণা - সর্বত্রই আজ শোভা পাচ্ছে হলুত তারকা-খচিত রক্তিম পতাকা। সেই উজ্জীবিত, শান্তিপ্রিয় শ্বেত পায়রা চীন সালাম, তোমাকে সালাম। চোখ রাঙিয়ে মানুষকে শাসন করা যায়, কিন্তু মানুষের মন তার চেয়ে অনেক উর্ধে। চাবুক আর চোখ রাঙানির সেই যুগ আর নেই। এখন কোন দেশ বা জনগণের আস্থা অর্জন করতে হলে তাকে তার কল্যাণ কামনার মধ্য দিয়েই তা করতে হবে। আত্নাকে সব সময় আত্মা দিয়ে মূল্যায়ন করতে হয়। হৃদয়কে সব সময় হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হয়। তবেই সে বন্ধুত্ব হৃদয়ে চির জাগ্রত থাকে। বর্তমানে চীন যেমন নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য, তেমনি চীনের অর্থনীতিও যথেষ্ট শক্তিশালী। চীন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ভূখন্ত এবং বিশ্বের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ। এর রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক বাহিনী এবং অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এতগুলো সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এবং একটি পারমানবিক শক্তিধর দেশ হয়েও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতি কিংবা সেসব দেশের মানুষ ও সম্পদের ক্ষতি হবে এমন কূটকৌশল কখনোই গ্রহণ করেনি চীন। চীন বিশ্বের ধনী দরিদ্র কোন রাষ্ট্রের জন্যই হুমকি হয়ে দাড়াইনি, বরং চীন বরাবরই তৃতীয় বিশ্বের বিবেক তথা বিশ্বের শোষিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত দেশগুলোর পাশে দাড়িয়ে তাদের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই মানবতাবাদী, মানবহিতৌষী চীন সালাম, তোমাকে সালাম। ১৯৮৩ সালে রেডিও পিকিং এখন সিআরআই'র মাধ্যমে চীনের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। সেই পরিচয় আজ অভিসারে রূপ নিয়েছে। পরিশেষে এটুকু বলব চীন হচ্ছে আমার কৈশরে পড়ার টেবিলের পরম প্রেরণাদাতা বন্ধু, যৌবনের স্বপ্নরঙিন দিনগুলোর দূরন্ত সঙ্গী আর আমার পরিণত বয়সের প্রেম প্রেয়সী। আচ্ছা বলুনতো, প্রেয়সী ছাড়া জীবন কি কখনো সম্ভব।" ভাই আবু টি.এম.মামিনুল ইসলাম, চীনকে এতো বেশি ভালবাসার জন্য সত্যিই চীন ও তার জনগণের পক্ষ থেকে আপনার আন্তরিক ধন্যবাদ প্রাপ্য।। আশা করি, ভবিষ্যতে আপনি অব্যাহতভাবে আমাদের অনুষ্ঠান শুনে চীনকে আরো বেশি জানতে পারবেন।