বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার বসুন্ধরা বেতার সংখের সভাপতি মধু সূদন বিশ্বাস তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ভাইয়া ও আপু এটা আমার প্রথম চিঠি। আশা করি গ্রহণ করিবেন আমাকে। আপনাদের উপস্থাপনা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি প্রতিদিন প্রতিনিয়ত চীন আন্তর্জাতিক বাংলা অনুষ্ঠান শুনে থাকি। চীন আন্তর্জাতিক বাংলা অনুষ্ঠান আমার এত ভাল লাগে যে সমান্য কাগজ কলমে লিখে তা বোঝানো যাবে না। আমি সিআরআই'র সকল অনুষ্ঠান হয় মাস ধরে শুনে আসছি। সিআরআই হল আমার প্রথম ভালোবাসা। যখন আমি সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান শুনি তখন রআমার মন প্রাণ সিআরআই'র মধ্যে থাকে। সিআরআই'র অনুষ্ঠান আমি বাংলাদেশের ঝিনাইদহ থেকে শুনতে পারি এটা আমার জন্য হয়তো ভাগ্যের বিষয়। আমি মনে করি সিআরআই আমার চলার পথকে আরো শক্তিশালী ও সমৃদ্ধি করে তুলবে। সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান আমি আমার গ্রামের কতিপয় ব্যক্তিবর্গের শুনাই। তারা আপনাদের অনুষ্ঠান শুনে প্রশংসা করে এবং আমাকে অনুষ্ঠান শুনতে আরো উত্সাহিত করে। আপনাদের অনুষ্ঠান সত্যিই অতুলনীয়। চীন আন্তর্জাতিক বাংলা অনুষ্ঠান অক্লান্ত শ্রমের কল্যাণের ফলে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরণের শিক্ষনিয় ও জ্ঞান সংক্রান্ত অনুষ্ঠানম উপহার দেয় এজন্যে আমরা আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমি ২০০৯ সালের জুন মাসে সন্ধ্যায় রেডিও চ্যানেল ঘুরাতে ঘুরাতে সর্বপ্রথম আমার কানে ভেসে ওঠে চীনের বাংলা অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে ছিল নির্ভুল কন্ঠ। সেই থেকে আমি চীনের বাংলা অনুষ্ঠান শুনি। ইচ্ছা ও আখাংকার পর আমি চিত্রের ঠিকানা খুঁজে পাই। আমি আমার এক প্রতিবেশী বন্ধুর কাছ থেকে চীনের ঠিকানা ও খাম নিয়ে চিঠি লিখলাম সর্ব প্রথম। চীন আন্তর্জাতিক বাংলা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমি বিচিত্র সংবাদ ও অনেক অজানা তথ্য জানতে পারি। চীনের বাংলা অনূষ্ঠান শুনলে চীনাভাষা শিখতে ইচ্ছা করে। তাছাড়া চীন দেশ সম্পর্কে জানতেই ইচ্ছে করে। চীনের বাংলা অনুষ্ঠানের মধ্যে ভাললাগে অজানা কাহিনী, দক্ষীন এ শিয়া ঘটনা প্রবাজ, অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা, চলুন বেড়িয়ে আসি, বিশ্বসংবাদ, প্রতিবেদন এবং চীনের সংবাদ। চীনের সকল অনুষ্ঠান যেমন মধুর লাড়ে। তেমনি মধুর লাগে শনিবারের শ্রোতা সন্ধ্যা। গত ৩০ জানুয়ারী অনুষ্ঠানরটি ছিল অত্যন্ত চমত্কার। আপনাদের কাছে আমার বিনিত অনুরোধ আপনার আমার ঠিকানায় ২০১০ সালের চীনের বাংলা অনুষ্ঠানের সময়সূচী পাঠিয়ে দেবেন। তাহলে আমি আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। আপনারা যদি আমার কাছে চিঠি লিখে পত্র যোগাযোগ রাখেন তাহলে আপনাদের সাথে আমার বন্ধুন হবে আরো অটুট। ভাই মধু সূদন বিশ্বাস, আপনার চিঠি আমাদেরকে মুগ্ধ করে। আমরা আপনি নিয়মিতভাবে আমাদের অনুষ্ঠান শোনা, আমাদেরকে চিঠি লেখা এবং অন্যকে আমাদের অনুষ্ঠান প্রচার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা আপনার মত শ্রোতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকবো।
বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার আই পি এম ফ্যান ক্লাবের সভাপতি সুকদেব কুমার ঘোষ তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি নিয়িত অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত জানিয়ে থাকি। কারণ আমার ক্লাবের শ্রোতা বন্ধুরা সিআরআই নিয়মিত শুনিয়া থাকে। গত ১ অক্টোবর ২০০৯ সাল থেকে সিআরআই নতুন অনুষ্ঠান সূচী মোতাবেক অনুষ্ঠান প্রচার করছেন। এই নতুন অনুষ্ঠানে অজানা কাহিনী নামে অনুষ্ঠানটি খুবই ভাল লাগছে। যেমন আজ ইন্দ্রোনেশিয়ার মন্ত্রীদের বেতগ্ন ভাতা সম্পর্কে জানানো হলো। এখন অজানা কাহিনী নামক অনুষ্ঠান থেকে জানতে পারলাম। আরো জানতে পারলাম বেল জিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিমান ছেড়ে চলে গেছেন কিন্তু মন্ত্রী ধুম তখনও ভাঙেনাই। এমন মজার মজার কাহিনী শুনতে খুব ভাল লাগছে। অজানা কাহিনী অনুষ্ঠানে বাংলা বিভাগের কর্মীদের দামপত্য জীবনের কাহিনী জানতে চাই। আপনাদের প্রকাশিত পুর্বের জানালা দ্বিতীয় সংখ্যা পেলাম। বার্ষিক জ্ঞান যাচাইমূলক প্রতিযোগিতার প্রশ্ন ও প্রবন্ধগুলো পড়ে। নয়া চীনের ৬০তম বার্ষিকী সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পালাম। যেমন আইন ও বিচার বিভাগ, কৃষিতে ব্যাপক সাফল্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মাধ্যমে চীনা নাগরিক মহাকাশ ভ্রমণ করছে, খেলাধুলার ক্ষেত্রে চীন প্রভূত সাফল্য অর্জন করেছে। নয়া চীন কুটনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত প্রসার করেছেন। পুর্বের জানালা আমরা নিয়মিত পেতে চাই। আমরা সিআরআই'র অনুষ্ঠান সহজে গ্রহণ করতে পারি। বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে তাই আপনাদের নিকট বিশেষ অনুরোধ সমস্ত ঘোষণা ও প্রতিযোগিতার খবরাখবর বেতারের সারফত দেবেন। আমরা বেতার যন্ত্র নির্ভর থাকি। কারণ বেতার যন্ত্র হাতে করে যেখানে সেখানে বয়ে নেয়া যাই।