বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মধু সূদন বিশ্বাস তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানের একজন নিয়মিত ও এক নিষ্ঠ পত্র লেখক শ্রোতা। আমি বহুদিন যাবত সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান শুনে আসছি। আপনাদের উপস্থাপনা ও অনুষ্ঠান এত যে ভাললঅগে তা বুঝানোর ভাষা হয়তো আমার জানা নেই। আমি মাঝে মাঝে সিআরআই ছাড়া অন্যন্য বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনে আসছি, কিন্তু সবথেকে সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান বেশি ভাললাগে এবং এর গুরুত্ব অত্যধিক। আমি সিআরআই'র সকল অনুষ্ঠান স্পষ্টভাবে আমার দেশ থেকে শুনতে পারি। আমি সিআরআইতে সর্বপ্রথম চিঠি লীখি এবং আমার চিঠির উত্তর পাই। উত্তর পাবার পর থেকে সিআরআই'র প্রতি আমার ভালবাসা আরও বেড়ে যায়। সিআরআই'র বিশ্ব সংবাদ আমার মুগ্ধ করে। তাছাড়া নিয়মিত প্রতিবেদন, চলুন বেগিয়ে আসি, শ্রোতা সন্ধ্যা, মুক্ত মন মুক্ত চিন্তা, দক্ষিণ এশিয়ার ঘটনা প্রবাহ, অজানা বাহিনী, ভিন দেশির চোখে চীন, সংস্কৃতি সম্ভার অনুষ্ঠান গুলো আমার খুবই ভাল লাগে। চীন বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান যতই শুনছি ততই আমার ভাল লাগছে। হয়তো আমি চীন বেতারকে বেশি ভাল বেসে ফেলেছি। সিআরআই শুনে আমি চীন সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারছি।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নাদিয়া জেলার ধীরেন বসাক তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, শাংহাই বিশ্বমেলাকর ওপর প্রতিদিনের প্রতিবেদন শুনছি। ভাল লাগছে। এই সব প্রতিবেদনের মাধ্যমে অনেক কিছু যানতে পারছি। ২০০৪ সালের সফল অলিম্পিকের পর ২০১০ সালে শাংহাই বিশ্বমেলা অনুষ্ঠিত। বিশ্ব বাসীর অনেক দিন মনে থাকবে। চীনের অর্থনৈতিক, প্রযুক্তি, রণ কৌশল, শিল্প, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, কত উন্নত, চীন তা সারা বিশ্ববাসিকে যানাতে মেরেছে। কোন দেশের জনগণ কতশিক্ষিত, পরিশ্রতি, ঐক্য বন্ধ, এবং নিষ্ঠা দিয়ে দেশকে উন্নত করতে পারে, চীন তার আজকের উদাহরণ। আমরাও চীনের সাফল্যকে অভিনন্দন যানাই। ধীরেন বসাক আপনাকে চীনকে অভিনন্দন জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, আপনি আমাদের অনুষ্ঠানগুলোয় আরো বেশি মনোযোগ দেবেন এবং আমাদেরকে মতামত দেবেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ভি.আর.এল ক্লাবের সভাপতি এস,এম,জাকির হোসেন তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান প্রচারের ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে, গত মে মাসের শুরু থেকে অক্টোবর মাসের শেষ পর্যন্ত বাংলা বিভাগ আমি ও সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করিয়া ছিলেন। আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করিয়াছিলাম। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতার উপর লিখেছিলাম। আমার লিখা পত্রটি নির্বাচনের পর শ্রোতাসন্ধ্যা অনুষ্ঠানে প্রচারিত হয়েছিল। আমি নিজেই এই নিবন্ধ অনুষ্ঠানে শুনেছি। শুনে আমি আনন্দিত হয়েছি। এবং আমি এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় শ্রেণীর পুরস্কার পেয়েছি। তাই আপনাদের এই প্রাপ্তী সংকদ জানালাম। নতুন আঙ্গিকে বাংলা অনুষ্ঠান আমাদের মতো শ্রোতাদের শুনতে অসুবিধা হচ্ছে। তার কারণ আমাদের কোন ইন্টারনেট নাই। সুতারাং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহজ ও সাবলিলভাবে চীন সম্পর্কে বেশি কিছু জানতে পাচ্ছিনা। তাই বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে হাতে লিখা চিঠির গুরুত্ব দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে এটা ভুলে গেলে চলবেনা। আমরা জন্ম লগ্নের শ্রোতা। সিআরআই'র বাংলা বিভাগের জন্ম আমার জন্ম একই বছরে। ১৯৮০ সাল থেকে সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান শুনে আসছি। তখন নাম ছিল রেডিও পিকিং। তারপর নাম করণ হলো রেডিও পেইচিং। বর্তমানের নাম চীন আন্তর্জাতিক বেতার। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের প্রতিদিনের প্রতিটা অনুষ্ঠানই আমার সুমধুর প্রাণ বছর। বিশ্ব সংবাদ, প্রতিবেদনসহ প্রতিদিনের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান সত্যিই অতুলনায়। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে চীনা ভাষা আমি মন প্রাণ দিয়ে শুনি। এই সব অনুষ্ঠান শ্রোতাবন্ধুদের উপহার দেয়ার জন্য সিআরআই'র বাংলা বিভাগের সকল কর্মীবৃন্দদের জানাই সহস্য গোলাপের শুভেচ্ছা। পশ্চিম বাংলার শ্রোতাদের পক্ষ থেকে আমার অনুরোধ আপনারা মুর্শিদাবাদে কিন্বা কলকাতায় একটি শ্রোতা সম্মেলন করুন। শ্রোতা সম্মেলনের সমন্ত দায়িত্ব ভার আমাদের ক্লাবের সকল শ্রোতা সদস্যারা মাথা পেতে নিবে। এস,এম,জাকির হোসেন, আপনাকে এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের অনুষ্ঠানে মনোযোগ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এখন আমাদের ওয়েবসাইট বেশি শ্রোতা ও ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের আলোড়ন সৃষ্টি করে। আমরাও ওয়েবসাইটের ওপর বেশি গুরুত্ব দেই। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে দায়িত্ব হল বেতার অনুষ্ঠান। হাতের লেখার চিঠির গুরুত্বও কখনো কম হয় নি। আমাদের প্রতিযোগিতার বেশির ভাগের বিজয়ী শ্রোতা হলেন হাতের লেখা চিঠি থেকে নির্বাচিত হন। সেজন্য আমরা আশা করি, যদি শ্রোতারা সুযোগ পান, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট দেখেন, কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে সত্যি আরো বেশি তথ্য ও মজা জিনিষ পাওয়া যায়। কিন্তু যদি আপনার ওয়েবসাইট দেখার সুযোগ নেই, তাহলে আমরা আশা করি, আপনারা নিয়মিতভাবে আমাদের বেতার অনুষ্ঠান শুনবেন। আমরা শ্রোতা ও ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদেরকে এক গুরুত্ব দেই।