Web bengali.cri.cn   
সেইজন্য চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ওয়েবসাইটে ভ্রমন করার সৌভাগ্য আমার হয়নি।
  2011-08-31 14:49:53  cri
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার পার্থ দত্ত তাঁর রচনায় সিছুয়ানের বিখ্যাত্ পর্যটন স্থান ব্যক্ত করা হয়। তিনি অনেক লম্বা লিখেন। কিন্তু আমরা সকল রচনা পড়ার সময় নেই। সেজন্য আমরা এখানে তাঁর রচনার কয়েক অংশ আপনাদেরকে বলবো। তিনি এমন লিখেন, চীনকে জানার জন্য কয়েকটি মাত্র মাধ্যম আছে। যার মধ্যে ইন্টারনেট হল অন্যতম। মাউস হাতে নিয়ে Bengali.cri.cn ক্লিক করলেই চোখের সামনে ডেসে উঠবে বর্ণময় এক জগত্। এই বর্ণময় জগতে প্রবেশের চাবি সকলের হাতের মুঠোয় থাকে না। সেইজন্য চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ওয়েবসাইটে ভ্রমন করার সৌভাগ্য আমার হয়নি। চীনকে জানার জন্য আমার সামনে দীর্ঘদিন থেকে যে জানলাটি খোলা রয়েছে তার নাম চীন আন্তর্জতাকি বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান মালার মধ্যে যেগুলি আমার সবচেয়ে প্রিয় তার মধ্যে অন্যতম হল চলুন বেড়িয়ে আসি। প্রতি সপ্তাহ চলুন বেড়িয়ে আসি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীনের বিভিন্ন দর্শনীয় সন্থানে আমার মানস ভ্রমন হয়ে যায়। চীন আন্তর্জাতিক বেতারে সিছুয়ান ভ্রমণের হয়ে যায়। চীন আন্তর্জাতিক বেতারে সিছুয়ান ভ্রমণের সাদর আহ্বান শুনে মন কিছুতেই ঘরে থিতু হয়ে বসে থাকতে চাইলো না। প্লেনের টিকিট, পাসপোর্ট ভিসা এসব আমার চীন ভ্রমনে বাধা হতে পারে, কিন্তু পাসপোর্ট, ভিসার বেতাজালে মন তো আর আটকে থাকতে পারে না। আমার মন গুণগুলিয়ে গেয়ে উঠলো-আজ মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাবো। হারিয়ে যাবো আমি নিরুদ্দেশে। কিন্তু কোথায়? মন বলবো- বিশ্বের স্বর্গ চিউচাইকৌতে। নইলে সবুজ বনানীতে ঘেরা ছিংছেং পাহাড়ে। আরো আছে এ্যমেই পাহাড়, ল্য পাহাড়, ওয়াংলুংয়ের পাঁচ রং ডোবাত, তুচিয়ান বাঁধ, রহস্যময়, প্রাচীন সভ্যতা সানসিংতুই। আর কতো নাম বলবো? আমার চিন্তায় চেতনায় তখন শুধুমাত্র বিরাজ করছে সুন্দরী সিছুয়ান। হৃদয়ে আলোড়িত হচ্ছে একটি মাত্র সুর আমি সিছুয়ানে যেতে চাই। মন বললো তবে আর দেরি কেন? চলো সিছুয়ানে যাই। তত্ক্ষনাত্ আমি চড়ে বসলাম মন পবনের বিমানে। আমায় নিয়ে স্বপ্নের বিমান ড্রাগনের দেশে উড়ে চললো। কোনো দিন যে পশ্চিমবঙ্গের গন্ডি পেরোয় নি, সেই আমি স্বপ্নের আকাশে উড়তে উড়তে পৌঁছে গেলাম আমার স্বপ্নের দেশ তথা দ্বিতীয় মাতৃভূমি চীনে। শুরু হল স্বপ্নের সিছুয়ান ভ্রমণ। প্রাচীন সভ্যতার দেশ চীন ভ্রমণের সময় প্রচীন সভ্যতার নিদর্শন না দেখলে ভ্রমন ডাই সেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সিছুয়ানে ভোলে অবশ্যই দেখতে হবে সানসিংতুই। এর আগের নাম ছিল সানদিংগ্রাম। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে এখনে গড়ে উঠেছিল এক সমৃদ্ধ নগরী। এই সমৃদ্ধ নগরীই ছিল তত্কালিন শুরাষ্ট্রের রাজধানী। সানসিংতুই জাদুঘরে সুউজ্জ্বল এই সভ্যতার অনেক নিদর্শন সুরক্ষিত আছে। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল নীল ব্রোঞ্জের তৈরী বিশ্ব সবচেয়ে বড় সুখোশ। যেটি শু রাষ্ট্রের প্রথম বাজার আসল সুখের মূর্তি। আর আছি বিশ্বের বিশ্ময় নীল ব্রোঞ্জের তৈরী হুংথিয়ান গাছ। বিশ্ময়কর পূরাকীর্তি দেখতে দেখতে পাঁচ হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার মাঝে মন তো হারিয়ে যাবেই। মনে মেন সিছুয়ান ভ্রমনের যে খেলা শুরু করেছিলাম এখনতার ইতি টানার পালা। আমার মন বললো ইতি নয় এটা বিরতি। হয়তো তাই। খেলা ভেঙ্গে গেলেও স্বপ্নের তো ইতি হয় নি। বরং স্বপ্নের ভূবনে বিচরণের এই শুরু। হয়কতো কখনো আমি চিউচাইকৌ উপত্যকায় হ্রদের তীরে বসে আপলক দৃষ্টিতে হ্রদের শোভা দেখবো। হয়তো আমি হারিয়ে যাবো তীব্বতীদের মাঝে। সুগন্ধ মাখন চা খেতে খেতে তীব্বতী জাতীর নাচগান উপভোগ করবো। হয়তো কখনো আমি বৌদ্ধ কিরণ দেখতে দেখতে হারিয়ে যাবো এ্যমেই পাহাড়। হয়তো বাঁশ দিয়ে তৈরী চেয়ারে বসে সবুজ চা খেতে খেতে ছিংছেং পাহাড়ের মনোরম সৌন্দর্য উপভোগ করবো। হয়তো আবার আমি হারিয়ে যেতে যেতে নিজেকে খুঁজে পাবো শাংছিংকোং মন্দিরে স্থানীয় মানুষের মাঝে। যেখান সবাই নিজেদের ইচ্ছাপূরণের জন্য দেবতার কাছে প্রার্থনা করে। হয়তো আমিও প্রার্থনা করবো। শাংছিংকোং মন্দিরের তাও দেবতার আর্শিবাদে আমার স্বপ্ন সত্যিহোক আর নাই হোক, আমি সিছুয়ানের স্বপ্নে মগ্ন হয়ে থাকবো।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040