Web bengali.cri.cn   
দারুণ সুন্দর নুচিয়াং গিরিখাত
  2012-07-30 11:38:26  cri

খ.প্রাচীনকালে প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে নুচিয়াং নদীর দু'পাশে কোনো সেতু নির্মিত হয় নি, একটি লোহার দড়ি দিয়ে নদীর দু'পাশে সংযুক্ত করা হয়। তবে বর্তমানে নদীর দু'পাশে নানা ধরনের লোহার দড়ির সেতু সাধারণত আর দেখা যায় না। বর্তমানে এ বিপদজনক লোহার দড়ি দিয়ে নদী অতিক্রম করার পদ্ধতি আধুনিক জীবনে চ্যালঞ্জিং একটি খেলায় পরিণত হয়েছে। পর্যটকরা শরীরে নিরাপত্তা বেল্ট জড়িয়ে লোহার দড়ি থেকে নদীর এক পাশ থেকে অন্য পাশে অতিক্রম করে । এটি খুবই মজার ও উত্তেজনাময় একটি খেলা।

ক.নুচিয়াং নদীর উপর দিকে পৌঁছার পর নদী প্রবাহে বিরাট পরিবর্তন ঘটে। বহু বার পাহাড়ের বাধার সম্মুখীন হওয়ার কারণে এ নদী একটি অর্ধেক গোলাকারের উপসাগরে পরিণত হয়েছে । গ্রীষ্মকাল ও শরত্কালে নুচিয়াং নদীর চলা একজন সাহসী পুরুষের মতো খুবই দ্রুত এবং শীত কাল ও বসন্তকালে নদীর পানি একজন সুন্দর মেয়ের মতো শান্ত ভাবে চলে।

খ.তা খুবই আশ্চর্য্য ব্যাপার। এ উপসাগরের আকার একটি ছোট দ্বীপের মতো। কৃষি মাটি সুশৃঙ্খলভাবে স্থাপনা করা হয়, ভোরবেলায় গ্রাম ও বাড়িঘর মেঘের মধ্যেহারিয়ে যায়, দেখতে রহস্যময় দেবতার বাসার মতো। উপসাগরের অন্য দিকে আরেকটি ছোট দ্বীপ আছে, এ দ্বীপে অনেক পিচ ফুলের গাছ রয়েছে, বসন্তকালে পিচ ফুল ফোটার সময় এ দ্বীপের দৃশ্য দারুণ সুন্দর, এ কারণে এ ছোট দ্বীপটিকে পিচ ফুল দ্বীপ বলে ডাকা হয়।

ক.এতো বেশি রোম্যান্টিক দৃশ্যের পরিচয় দেওয়ার পর আমরা একটি সুন্দর গান প্রচার করবো, কেমন? গানের নাম ময়ুরের জন্মস্থান। ইউয়ুননান প্রদেশ হল সুন্দর পাখি ময়ুরের আবাসস্থল ।এ কারণে ইউয়ুননানের আরেক নাম ময়ুরের জন্মস্থান।

খ.তাহলে একসাথে শুনি এ সুন্দর গানটি।

খ.নুচিয়াং নদীর পাশে অন্য একটি রহস্যময় ও মনোহরণীয় দর্শনীয় স্থান আছে। তা পিংচোংলুও উপজেলার উত্তর দিকে অবস্থিত। নদীর দু'পাশে দুটি উঁচু তুষার পাহাড় কাওলিকুং পাহাড় ও বিলুওস্যুয়ে পাহাড় এখানে সংযুক্ত হয়েছে। দু'টি পাহাড় নদীর পাশে সংযুক্ত হওয়ার পর,একটি ৫০০ মিটার উঁচু ও ২০০মিটার বিস্তীর্ণ বড় সাইজের পাথর যেন দরজা গড়ে তুলেছে।

ক.আমি ভাবতে পারি না এত বড় সাইজের পাথরের দরজা কিভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। জানা গেছে, এ ৫০০ মিটার উচুঁ পাথর দরজা সবই দুরারোহ পাহাড়, তা অতিক্রম করে তিব্বতে প্রবেশ করা যায়।

ক. পিংচোংলুও জেলা হল নুচিয়াং নদীর পাশে সবচেয়ে সুন্দর দর্শনীয় এলাকার অন্যতম। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য দারুণ সুন্দর, মনে হয় যেন স্বর্গের মতো। তুষারাচ্ছন্ন পাহাড়ের সামনে ফসলের ক্ষেত সুশৃঙ্খলভাবে বিস্তৃত, হলুদ ও সবুজ রঙয়ের ফসলের ক্ষেত মিশে আছে, কালো পাথরে তৈরি ছাদের বাড়িঘরের চিমনিতে হাল্কা ধোঁয়া দেখা যায়। এখানে থাকলে গ্রামবাসীদের আরামদায়ক জীবনযাপন উপভোগ করা যায়।


1 2 3
মন্তব্য
মন্তব্য
লিঙ্ক