Web bengali.cri.cn   
পেইচিংয়ের সিয়াংশান পাহাড়
  2012-11-07 16:42:52  cri

সুবর্ণা: আচ্ছা, সিয়াংশান পাহাড়ের লাল পাতার পরিচয় দেয়ার পর এখন একটি সুন্দর গান শোনা যাক। গানের নাম 'লাল পাতাকে পছন্দ করি'। গানের কথা মোটামুটি এমন: এক দল বন্য রাজহংসী আকাশে উড়ে যাচ্ছে/সিয়াংশান পাহাড়ের পাতা আবার লাল হয়েছে/পর্বত, গিরিখাত, নিবিড় বনে দেখা যায় লাল রঙ / সিয়াংশান পাহাড়ের লাল পাতার সুন্দর দৃশ্য পছন্দ করে সবাই/ লাল রঙয়ের পাতা আগুনের মতো, মানুষের হৃদয়কে করে উঞ্চ /বিশ্বের অনেক জায়গায় বেড়াতে গেছি, অথচ সিয়াংশান পাহাড়ের সৌন্দর্য্য ভুলতে পারিনি..

প্রকাশ:সুন্দর গানটি শোনার পর এখন সিয়াংশান পাহাড়ের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু বলি। পেইচিং শহর গড়ে ওঠার আগে পেইচিংয়ের পশ্চিম দিকের পাহাড়গুলোকে 'সিশান পাহাড়' বলে ডাকা হতো। কবিরা এ-সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য ঘুড়ে দেখতে বেশ পছন্দ করতেন এবং এখানকার দৃশ্য নিয়ে অনেক সুন্দর কবিতাও রচনা করেছেন। এ-কারণে সিয়াংশান পাহাড়ের 'লাল পাতা' অতি বিখ্যাত হয়েছে। শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা জানেন, সিয়াংশান পাহাড়ের গাছের পাতা কেন সবুজ থেকে লাল রঙয়ে পরিণত হয়? আসলে এর সাথে গাছের ডিএনএ'র ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সবধরনের গাছের পাতা সবুজ থেকে লাল হয় না। যেসব পাতার মধ্যে লাল রঙয়ের anthocyanin থাকে, সেসব পাতাই কেবল সবুজ থেকে লাল হতে পারে। আবার পাতায় anthocyanin-এর পরিমাণ নির্ভর করে পানি, সূর্যালোক ও তাপমাত্রার ওপর। যেমন, সূর্যালোক যত বেশি, শরত্কালে এ-পাতার রঙ তত লাল হবে। শরত্কালে ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করার জন্য গাছের পাতা চিনি সঞ্চয় করে, ফলে পাতা লাল হয়ে যায়। তা ছাড়া, দিনের তাপমাত্রা ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান যত বেশি হবে, শরত্কালে এ-পাতা তত লাল হবে।

সুবর্ণা:হ্যাঁ, এটা খুবই মজার ব্যাপার। এখন সিয়াংশানয়ের পাতা সবই লাল হয়ে গেছে। পাহাড়ের বাতাস কিন্তু একটু বেশি ঠাণ্ডা হবে। সে যাক, আমরা এখন শ্রোতাবন্ধুদের জন্য আরেকটি সুন্দর গান প্রচার করবো, কেমন? গানের নাম 'লাল পাতার প্রেম'।

প্রকাশ:আচ্ছা, বন্ধুরা, সুন্দর গানটি শোনার পর এখন আমরা আপনাদের জন্য সিয়াংশান পাহাড় পরিদর্শনের রোডম্যাপ নিয়ে কিছু তথ্য জানাচ্ছি। প্রাচীনকালে রাজারা সবসময় সিয়াংশান পার্কের পূর্ব দরজা দিয়ে প্রবেশ করে বাম দিকে গিয়ে চিংছুই হ্রদ, ছুইওয়েই প্যাভিলিয়ন, সিয়াংশান মন্দির ইত্যাদি স্থানে আরোহণ করে অবশেষে সিয়াংলুফেংতে পৌঁছাতেন। এ-পথ শুধু রাজাদের জন্য খোলা থাকতো। তবে বর্তমানে পর্যটকরাও এ-পথ দিয়ে সিয়াংশান পাহাড় পরিদর্শন করতে পারেন।

সুবর্ণা:আপনারা বেশি কষ্ট করে পাহাড়ে আরোহণ করতে না-চান, তাহলে এ-পার্কের পূর্ব দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন। প্রবেশ করেই দেখবেন দুটো বড় মেইপল (maple) গাছ। এরপর দক্ষিণ দিকে প্রায় ৫ মিনিট হাঁটলেই চিংছুই হ্রদ। এখানে পাহাড়ের লাল পাতার দৃশ্য দেখতে পারবেন; তুলতে পারবেন ছবিও।


1 2 3
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক