Web bengali.cri.cn   
চীনা সংস্কৃতি: নিষিদ্ধ নগরীর নাম কীভাবে এসেছে?
  2013-06-05 15:16:46  cri

    সুপ্রিয় শ্রোতা, পেইচিংয়ের নিষিদ্ধ নগরীর নাম হয়তো অনেকেই শুনেছে। এটা হলো চীনের মিং এবং ছিং রাজবংশের রাজপ্রাসাদ। তার পুরোন চীনা নাম হলো 'জি চিন ছেং'। এ নাম যে প্রক্রিয়া এসেছে তার মধ্যেও চীনের সংস্কৃতি প্রতিফলিত হয়। আজকের 'স্বর্ণার সাথে শিখুন' আসরে 'জি চিন ছেং' নাম সম্পর্কিত কিছু তথ্য আমি জানাবো। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি***। তা চিয়া হাও!

    নিষিদ্ধ নগরীর নাম 'কু কুং' বা 'জি চিন ছেং'। 'কু কুং' মানে পুরনো প্রাসাদ। 'জি চিন চেং' মানে রক্তবর্ণ নিষিদ্ধ নগরী। চীনের মিং ও ছিং রাজবংশের ২৪জন রাজা এখানে বাস করেছিলেন। এ রাজপ্রাসাদের দেওয়াল লাল এবং ছাদ সোনালি। দেখতে অতি মহিমান্বিত লাগে। কিন্তু নাম কেন রক্তবর্ণ নিষিদ্ধ নগরী?

    একটি কিংবদন্তি হলো 'জি ছি' অর্থাত্ রক্তবর্ণ হাওয়া হলো দেবতা বা দেবীদের আসার বা থাকার লক্ষণ। রক্তবর্ণ খুব ঐশ্বরিক রং। তাই প্রাচীনকালে যাদেরকে ঐশ্বরিক ব্যক্তি বলে মনে করা হতো বা যারা নিজেদেরকে ঐশ্বরিক ব্যক্তি বলে মনে করতেন, তাদের সঙ্গে রক্তবর্ণের সম্পর্ক দেখা যেত। যেমন, 'তাও ত্য চিং'-এর লেখক 'লাও জি'-এর একটি গল্প আছে। একদিন 'হান কু' নগরের সৈনিকেরা দেখতে পায় রক্তবর্ণ হাওয়া পূর্ব দিক থেকে বয়ে আসছে। কিছুক্ষণ পর একই দিক থেকে গরুর পিঠে সওয়ার হয়ে 'লাও জি' আসেন। তাই সবাই বলে তিনি ইশ্বর বা দেবতা। আর চীনের রাজারা সবসময় নিজেদেরকে ইশ্বরের সন্তান বলে মনে করতেন। তাই 'রক্তবর্ণ রং' রাজাদের ঐশ্বরিকতার প্রতীক। আর রাজপ্রাসাদে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল, তাই বলা হয় নিষিদ্ধ নগরী।

    আরেকটি ভাষ্য রাশির সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রাচীনকালে চীনের নিজস্ব রাশিতত্ত্ব ছিল। বিভিন্ন রাশি হলো বিভিন্ন দেবতার প্রতীক। এর মধ্যে 'জি ওয়েই' রাশি হলো রাজার প্রতীক। তাই রাজা থাকার জায়গাকে 'জি চিন ছেং' বলা হয়।

    আরেকটি কিংবদন্তিতে বলা হয়, আকাশের ওপরেও পৃথিবীর মতো রাজা, সাধারণ মানুষ এবং প্রেত থাকে। আকাশের ওপরের রাজপ্রাসাদকে বলা হয় 'জি কুং' মানে 'জি' প্রাসাদ। তাই পৃথিবীর রাজপ্রাসাদকেও 'জি চিন ছেং' বলা হয়।

    সুপ্রিয় শ্রোতা, এই হলো চীনের নিষিদ্ধ নগরী সম্পর্কিত কিছু কিংবদন্তি। চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে প্রশ্নগুলো ইমেলে আমার কাছে পাঠাতে পারেন। আগামী আসরে আবার কথা হবে। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। জাই চিয়েন। (ইয়াং ওয়েই মিং/এসআর)

মন্তব্য
মন্তব্য
লিঙ্ক