Web bengali.cri.cn   
চীনা সংস্কৃতি: 'লেই ফেং চিং শেন' মানে কী?
  2014-03-31 19:49:05  cri

সুপ্রিয় শ্রোতা, প্রত্যেক বছরের ৫ মার্চ হল 'লেই ফেং দিবস'। এ দিবসে সারা চীনে 'লেই ফেং-এর মূলনীতি শেখার' বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। 'লেই ফেং' কী? আজকের 'স্বর্ণার সাথে শিখুন' আসরে 'লেই ফেং'-এর কথা আপনাদেরকে জানাবো আমি ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা।

লেই ফেং ছিলেন চীনের গণমুক্তি ফৌজের একজন সৈনিক। ১৯৪০ সালে তার জন্ম হয় এবং ১৯৬২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার সংক্ষিপ্ত জীবনে তিনি সবসময় 'নিঃস্বার্থে জনগণের জন্য সেবা করা, বিনয়ী হয়ে থাকা এবং কমিউনিস্ট পার্টি ও জনগণের কাছে অনুগত থাকার' নীতি অনুসরণ করে গেছেন। তাই লেই ফেং মারা যাওয়ার পর, চীনের তত্কালিন প্রেসিডেন্ট মাও জে তুং 'লেই ফেং'-এর কাছ থেকে শেখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তখন থেকেই চীনে ফিবছর ৫ মার্চকে 'লেই ফেং দিবস' হিসেবে পালন করা হচ্ছে। 'লেই ফেং' চীনের যুব সমাজের কাছে 'নিঃস্বার্থে মানুষকে সাহায্য করা এবং মিতব্যয়ী জীবন'-এর প্রতীক হয়ে আছেন।

লেই ফেংয়ের মূলনীতি, চীনা ভাষায় বলা হয়雷(léi)鋒(fēng)精(jīng)神(shén)। এর মধ্যে প্রথম নীতি হল: সঠিকভাবে নিজের সামাজিক দায়িত্ব পালন করা এবং নিজের কাজ বা চাকরিকে ভালবাসার মাধ্যমে দেশকে ভালবাসা। লেই ফেং মনে করতেন, দেশের প্রতি ভালবাসা প্রকাশের সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হল সঠিকভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করা। নিজের কাজ বা চাকরিকে ভালবাসতে পারলে, নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারলেই কেবল একজন নিজেকে দেশপ্রেমিক হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে। সঠিকভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করা একটি স্বাভাবিক বিষয়; অথচ এর মাধ্যমেই একজনের দায়িত্ববোধ প্রতিফলিত হয়।

লেই ফেং আরো মনে করতেন, দেশপ্রেম ছাড়া অন্য মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করাও জীবনের এক আনন্দ। কোনো মানুষ যদি বিপদে পড়ে, তবে তাকে সাহায্য করার মাধ্যমে আনন্দ লাভ করা যায়। মাঝে মাঝে খুব ক্ষুদ্র কিছু কথা বা সহজ একটু ভালো আচরণ মানুষের জীবনকে বদলে দিতে পারে।

লেই ফেংয়ের মূলনীতি আজকেও চীনা মানুষ মনে ধারণ করে; আজও চীনের মানুষ তাকে স্মরণ করার মাধ্যমে দেশ গড়ার মন্ত্রে নতুন করে দিক্ষা নেয়।

প্রিয় শ্রোতা, আকজের অনুষ্ঠানে 'লেই ফেং'-এর নীতি সম্পর্কে জানলেন। এখন বিদায়ের পালা। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন; আগামী সোমবার আবার কথা হবে। (ইয়াং ওয়েই মিং/আলিম)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক