Web bengali.cri.cn   
হ্যালো চায়না: ১২. মুদ্রণ
  2016-03-25 16:51:04  cri

প্রতিদিন আমরা বই ও পত্রপত্রিকা পড়ি। এসব বই ও পত্রপত্রিকা মুদ্রিত হয়েছে। মুদ্রণযন্ত্র না থাকলে প্রতিটি বই হাতে লিখতে হতো। এ ভাবে হাতে লিখে বই কপি করতে অনেক সময় লাগত এবং সহজে ভুল হতো। প্রায় ১৪০০ বছর আগে চীনারা ব্লক মুদ্রণ পদ্ধতি আবিষ্কার করে। ব্লক মুদ্রণ পদ্ধতিতে কাঠের বোর্ডে মূল অক্ষর বা শব্দগুলোর ছবি তৈরি করা হয়। তারপর ওই বোর্ডে কালি লাগানোর পর কোনো কিছুর ওপর ছাপ দেওয়া হয়। এভাবে মুদ্রণের কাজ অনেক সময় সাপেক্ষ ও প্রচুর কাঁচামালের প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া একবার ভুল হলে তা সংশোধন করাও ছিল বেশ কঠিন। পরবর্তীতে উদ্ভাবিত চালনীয় মুদ্রাক্ষর ছাপার পদ্ধতিতে এ ত্রুটি একদমই দূর হয়ে যায়। এতে মুদ্রণের গতি ও গুণগতমান ব্যাপকভাবে উন্নত হয়। আপনি কি জানেন, চালনীয় মুদ্রাক্ষর ছাপার পদ্ধতি কে আবিষ্কার করেছেন?

উত্তর সুং রাজবংশের পি শেং নামের এক ব্যক্তি চালনীয় মুদ্রাক্ষর ছাপার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তিনি প্রথমে কতগুলো পাথরের ঘনক্ষেত্র তৈরি করেন, এরপর প্রতিটি পাথরের ওপর খোদাই করেন এক একটি চীনা অক্ষর। তারপর পাথরগুলোকে আগুনে পোড়ানো হয়। এভাবে এক একটি পাথর চালনীয় মুদ্রাক্ষর তৈরি করে। বই ছাপার সময় লোহা দিয়ে এসব চারকোণা কাঠামো নিচে রেখে তার ওপর কালি লাগানো হয় এবং কাগজ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এভাবেই চমত্কার মুদ্রিত লেখা তৈরি হতে থাকে। মুদ্রণের মান বাড়ানোর জন্য দু'টি লোহার পাত ব্যবহার করা হয়। শব্দগুলো দিয়ে একটি সারি তৈরি করা যায়। বর্তমানের আধুনিক মুদ্রাক্ষর পদ্ধতির তুলনায় চালনীয় মুদ্রাক্ষর ছাপার পদ্ধতির দৃশ্যত পার্থক্য থাকলেও দু'টি পদ্ধতির কাজের নীতি প্রায় একই। সেজন্য মুদ্রণ শিল্পে পি সেংয়ের অবদান উল্লেখযোগ্য।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
লিঙ্ক