গত ২৫ থেকে ৩০ এপ্রিল চীনের কুয়াংতোং প্রদেশ সফর করেন সামুদ্রিক রেশমপথসংলগ্ন দেশগুলোর ২০টি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আসা এসব প্রতিনিধি তথা সিনিয়র সাংবাদিক কুয়াংতোংয়ের রাজধানী কুয়াংচৌ ছাড়াও তোংকুয়ান ও ফোশান সফর করেন। তাদের এ সফর যৌথভাবে আয়োজন করে চীন আন্তর্জাতিক বেতার, কুয়াংতোং প্রাদেশিক সরকারের তথ্য কার্যালয় এবং চায়না ডটকম।
কুয়াংতোং প্রদেশের তথ্য কার্যালয়ের স্থায়ী উপ-পরিচালক চাং চি কান
২৬ এপ্রিল প্রাচীন সামুদ্রিক রেশমপথের জন্মস্থান কুয়াংচৌয়ের হুয়াংফু প্রাচীন বন্দরে এ সফরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুয়াংতোং প্রদেশের তথ্য কার্যালয়ের স্থায়ী উপ-পরিচালক চাং চি কান অতিথি সাংবাদিকদের সামনে কুয়াংতোং প্রদেশের উন্মুক্তকরণসংশ্লিষ্ট তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "কুয়াংতোং হচ্ছে প্রাচীন সামুদ্রিক রেশমপথের জন্মস্থান। চীনের যেসব বন্দর দিয়ে প্রাচীনকালে বাইরের দুনিয়ার বাণিজ্যিক লেনদেন হতো, কুয়াংতোং সেগুলোর অন্যতম। চীন উন্মুক্তকরণ নীতি গ্রহণের পর কুয়াংতোংই সর্বপ্রথম বিশ্বকে স্বাগত জানানোর সাহস দেখিয়েছে, দেখিয়েছে ইতিবাচক মনোভাব। কুয়াংতোংই সবার আগে উন্মুক্তকরণমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। চীনের সর্বোচ্চ মানের বহির্মুখী অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত হয়েছে এই প্রদেশটি।"
চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ কুয়াংতোং। চাং চি কান মনে করেন, 'একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক রেশমপথ'-এর কৌশলগত ধারণা এ প্রদেশকে সামুদ্রিক রেশমপথসংলগ্ন দেশগুলোর সাথে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ ও বিস্তৃত প্লাটফর্ম দিয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, সামুদ্রিক রেশমপথেই লুকিয়ে আছে কুয়াংতোংয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতার সুপ্ত শক্তি। তিনি সামুদ্রিক রেশমপথসংলগ্ন দেশগুলোসহ বিশ্বের বিভিন্ন তথ্যমাধ্যমের সাংবাদিক বন্ধুদের এখানে এসে আসল কুয়াংতোংয়ের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেখার এবং সে সম্পর্কে রিপোর্ট করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সামুদ্রিক রেশমপথসংলগ্ন দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে গণমাধ্যমের বলিষ্ঠ সমর্থন প্রয়োজন।
| ||||