এ চলচ্চিত্রের প্রধান পুরুষ চরিত্রের নাম হলো সিয়া লুও। তার স্ত্রী মা তোং মেই যখন হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন তখন থেকেই সিয়া লুওকে ভালোবাসেন।

তাদের দাম্পত্য জীবন নানান ছোট-খাটো ঘাত-প্রতিঘাতে ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যায়।

একদিন সিয়া লুও শুনতে পান, তার স্কুল জীবনের প্রিয় মেয়ে, তখনকার স্কুলের সবচেয়ে সুন্দর ছাত্রী ছিউ ইয়া বিয়ে করবেন। এ খবর শুনে সিও লু নিজেকে জাঁকজমকপূর্ণভাবে সাজিয়ে বিলাসবহুল গাড়িতে বসে ছিউ ইয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।

আসলে সিয়া লুও স্ত্রী মা তোং মেইকে না জানিয়ে নিজেই ছিউ ইয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তারপর স্ত্রী মা তোং মেই বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন। তিনি পুরোনো বন্ধুর সামনে সিয়া লুওয়ের ছদ্মবেশ উন্মোচন করেন।

ছিউ ইয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য সিয়া লু শপিং মল থেকে নিজের জন্য নতুন এক সেট স্যুট ভাড়া করেন। তবে স্যুটে লাগানো ট্যাগ তিনি খুলে ফেলেন না, কারণ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর তাকে আবার শপিং মলে স্যুটটা ফেরত দিতে হবে। তা ছাড়া, যে গাড়িতে তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন সেই বিলাসবহুল গাড়িটিও তিনি ভাড়া করেন।

বলা যায়, সিয়া লুও নিজেকে জীবনে সত্যিকার একজন সব কিছু হারানো লোক বলে মনে করেন। তিনি নিজের বর্তমান জীবন নিয়ে একদম সন্তুষ্ট নন। তাই তিনি নানান উপায়ে ভান করার চেষ্টা চালিয়ে থাকেন।

নিজের মিথ্যা কথা উন্মোচিত হওয়ার পর সিয়া লুও লজ্জা পান। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া ও মারামারির সময় সিয়া লুও হঠাত্ করে নিজের হাই স্কুলের সময়ে আবার ফিরে যান।