১. চীনে তৃতীয় বৃহত্তম পানিবিদ্যুতকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে ইয়াংজি নদীর ওপর। এটি হবে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম পানিবিদ্যুতকেন্দ্র।
কেন্দ্রের ১২টি ইউনিট কাজ শুরু করলে এখান থেকে বছরে ৩৮৯০ কোটি কিলোওয়াটঘন্টা বিদ্যুত উৎপন্ন হবে। কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি ২০২০ সালে বিদ্যুত উৎপাদন শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১০০০০ কোটি ইউয়ান। আগামী কয়েক বছরে প্রকল্পে ১৬ সহস্রাধিক কর্মীর প্রয়োজন হবে।
২. আগামী বছরের ১৯ জানুয়ারি শাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে চীনের চতুর্থ ই-কমার্স সম্মেলন। এতে আলিবাবা, চিংতুং, ল্যটিভি, ও হায়ারসহ চীনের বিখ্যাত ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করবেন।
সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করবে চায়না অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রেড ইন সার্ভিস (সিএটিআইএস) এবং চায়না ই-কমার্স ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল অ্যালায়েন্স (সিইসিআইএ)।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল ছিল চীনের ই-কমার্সের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। এ বছর দেশটিতে সরকারিভাবে 'ইন্টারনেট প্রাস' কৌশল গ্রহণ করা হয়।
৩. চীনের সরকার তিব্বতের জন্য আগামী পাঁচ বছরও অগ্রাধিকারমূলক আর্থিক নীতি অনুসরণ করে চলবে। গত বুধবার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য নিশ্চিত করে।
চীনের গণব্যাংকের উপ-প্রধান ফান কুংশেং এক ফোরামে এ তথ্য জানান এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তিব্বতে আরও বিনিয়োগ করতে অনুরোধ করেন।
ফোরামে চীনা কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান লিউ সিইউ জানান, তার ব্যাংক ইতোমধ্যেই তিব্বতে ৫১১টি শাখা স্থাপন করেছে এবং ২০১৬ সাল শেষ হবার আগে অঞ্চলের সকল কাউন্টিতে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবে।
৪. চীন সরকার চলতি বছর দেশের স্বল্প উন্নত পশ্চিমাঞ্চলে ৭৬৮৭০ কোটি ইউয়ানের বেশি বিনিয়োগ করেছে। বুধবার সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ তথ্য জানায়।
জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের এক বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, পশ্চিম চীনে চলতি বছর মোট ৩০টি বড় ধরনের প্রকল্প চালু করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে ২৭০টি প্রকল্পে ৫.৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ দেওয়া হয়।
৫. গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের করাচি-লাহোর মহাসড়কের সুক্কুর-মুলতান অংশের নির্মাণকাজ সম্পর্কিত একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
মহাসড়কের সুক্কুর-মুলতান অংশ নির্মাণে ব্যয় হবে ২৮৯ কোটি মার্কিন ডলার। দ্বিমুখী এই সড়কপথটি হবে ছয় লেনের। এ সড়কে বিভিন্ন যানবাহন ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে।
| ||||